শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সমাবেশে তিনি এ কথা জানান।
মো. রুহুল আমিন বলেন, প্রাথমিক কিংবা নিম্ন মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীর হাতে স্মার্টফোন তুলে দিলে এর ইতিবাচক ব্যবহারের চেয়ে নেতিবাচক ব্যবহার বেশি হয়।
তিনি বলেন, খুদে শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন আসক্তি থেকে বের করে আনতে হবে।
ইউএনও বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব স্কুলে আমরা খেলাধুলার উপকরণ উপহার দিচ্ছি। স্কুলে স্কুলে ‘পুরনো বল দাও, নতুন বল নাও’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অনেক সময় শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নিতে ফোন প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে স্মার্টফোনের পরিবর্তে তাদের নরমাল ফোন দিন।
মো. রুহুল আমিন বলেন, হাটহাজারীর সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা কাজ করছি। এ জন্য অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে। বিদ্যালয়ের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বাড়াতে হবে। মাসে অন্তত একবার বিদ্যালয়ে এসে সন্তানের খবর নিতে হবে।
ইউএনও বলেন, কোনো শিক্ষার্থী যৌক্তিক কারণ ছাড়া মোট ক্লাসের তিনভাগের একভাগ অনুপস্থিত থাকলে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হবে। বার্ষিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে কোনোভাবেই পরবর্তী ক্লাসে তাকে প্রমোশন দেওয়া হবে না। তাই বছরের শুরুতেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক সবাইকে সিরিয়াস হতে হবে।
তিনি বলেন, সন্তান কোথায় যায়, কী করে তা অভিভাবককে জানতে হবে। কথিত বড় ভাইদের সঙ্গে মিশে ‘কিশোর গ্যাং’ এর মতো কোনো অপরাধ চক্রে জড়িয়ে পড়ছে কী না- সেদিকে নজর রাখতে হবে। মাদকে যেনো তারা আসক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সভায় হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
এমআর/এসি/টিসি