ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক গভীর’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক গভীর’ বক্তব্য দেন সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী।

চট্টগ্রাম: ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক অনেক গভীর বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে নাসিরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাইজভাণ্ডারী একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত ত্রয়োদশ শিশু কিশোর সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ত্বরিকা-ই-মাইজভাণ্ডারীয়ার প্রবর্তক গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহসূফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এর পবিত্র ১১৪তম ওরশ উপলক্ষে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে মাইজভাণ্ডারী একাডেমি এ আয়োজন করে।

অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম পরম বন্ধু। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতীয় সৈন্যরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সেই সহযোগিতার হাত এখনো চলমান রয়েছে। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। অর্থনৈতিক ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সকলকে বিস্মিত করেছে। আমরা চাই বাংলাদেশের এ অগ্রগতি অব্যাহত থাকুক।

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের মতো বাংলাদেশেও হিন্দু-মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মের মানুষরা শান্তিপূর্ণভাবে ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ অসাম্প্রদায়িক মিলনক্ষেত্র। এই দরবার শরীফের যিনি প্রবর্তক তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক। এছাড়া হযরত জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীও অসাম্প্রদায়িক চেতনার জন্য কাজ করেছেন।

সহকারী হাই কমিশনার বলেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে অনেক কিছু। শিশুদেরকে শুধু পড়ালেখার চাপ দিলে হবে না। শিশুদের মধ্যে মানবিকতা, মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবিক গুণাবলি সৃষ্টি করতে হবে। সত্যিকারের মানুষে পরিণত করতে হবে। কারণ পড়ালেখা করে শিক্ষিত হওয়া যায়, তবে মানুষ হতে হলে মানবিক গুণাবলি প্রয়োজন। শিশুদেরকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখবেন না। তাদেরকে প্রকৃতির সঙ্গে মিশতে এবং খেলাধুলা করতে সুযোগ দিতে হবে।  

ট্রাস্টের ভারপ্রাপ্ত সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এম জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. এহসানে এলাহী, কপিরাইট রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী।

বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট ড. হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি দিদারুল আলম চৌধুরী, কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন, আলোকধারা সম্পাদক ড. সৈয়দ আবদুল ওয়াজেদ, ইঞ্জিনিয়ার কামালুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক এইচ এম রাশেদ খান, অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ তরিকুল আলম, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, মুহাম্মদ মঈনউদ্দিন ইমন, এম মাকসুদুর রহমান হাসনু, বিপ্লব পার্থ, মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান আশরাফ, এইচ আর মেহবুব জিকু, নুরুল করিম নুরু, আবুল মনসুর, মেজবাহ উদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।