ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পেঁয়াজের আড়তদার ও আমদানিকারকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
পেঁয়াজের আড়তদার ও আমদানিকারকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম: ভারতের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে আমদানি করা পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানির প্রস্তাব আসতে পারে এমন খবরে খাতুনগঞ্জের আড়তদার ও আমদানিকারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রীতিমতো ধস নেমেছে পেঁয়াজের দামে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পাইকারিতে ৫০-৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে বিভিন্ন দেশের পেঁয়াজ।

এর মধ্যে ভালো মানের প্রতিকেজি চীনা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকা, নেদারল্যান্ডসের (হল্যান্ড) পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা, তুরস্কের পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা এবং পাকিস্তানের পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা।

অথচ মঙ্গলবারও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশের ভালো মানের পেঁয়াজ ১০০ টাকা বিক্রি হয়েছিলো পাইকারিতে।

একজন আড়তদার বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে বিদেশ থেকে প্রচুর পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

পাইপলাইনেও আছে বেশকিছু পেঁয়াজ। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়েও প্রতিদিন ঢুকছে পেঁয়াজ। দেশি পেঁয়াজ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠছে। পেঁয়াজপাতাও দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। তাই চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি।

বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে বলেন, দুঃসময়ে যখন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিলো তখন এদেশের ব্যবসায়ীরাই বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ এনে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। চীন, তুরস্ক, মিয়ানমার, হল্যান্ড, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য হওয়ায় নামমাত্র লাভে দ্রুত গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন ব্যবসায়ীরা। যতটুকু জানা গেছে, আমদানি করা পেঁয়াজই রপ্তানি করতে চায় ভারত। এখানে দামটা মুখ্য নয়। সবকিছু নির্ভর করবে সরকারের ওপর। আমাদের যে স্থিতিশীলতা, সাপ্লাই চেন গড়ে উঠছে তা-ও বিবেচনায় রাখতে হবে। কৃষকদের কথাও মনে রাখতে হবে। যদিও ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাবান্ধব সরকারের ওপর আমাদের ভরসা আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।