ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ কোটি টাকায় জিআইএস ম্যাপ তৈরি করছে চসিক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
১৩ কোটি টাকায় জিআইএস ম্যাপ তৈরি করছে চসিক জিআইএস ডিজিটাল ম্যাপ তৈরির লক্ষ্যে চসিকের সঙ্গে আইডব্লিউএমের চুক্তি সই

চট্টগ্রাম: বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামের জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমের (জিআইএস) ডিজিটাল ম্যাপ তৈরির লক্ষ্যে সিটি করপোরেশন ও ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) চসিক কনফারেন্স হলে এ সমঝোতা স্মারক চুক্তি সই হয়। এ সময় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

চসিকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম ও  আইডব্লিউএম’র পক্ষে ড. মোল্লা মোহাম্মদ আওলাদ হোসাইন চুক্তিতে সই করেন।

এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, আইডব্লিউএম’র নির্বাহী পরিচালক আবু সালেহ খান, হেড অব বিজনেজ মো. সামিউন নবী, মো. সোরাব হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ড. মোল্লা মোহাম্মদ আওলাদ হোসাইন জিআইএস সম্পর্কে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে চসিক। এতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ আড়াই বছর।   

জিআইএস ডিজিটাল ম্যাপ প্রণয়নের গুরুত্ব তুলে ধরে মেয়র বলেন,  চট্টগ্রামকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম জরুরি। নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে জিআইএস পদ্ধতি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দক্ষতা অনেকাংশে বাড়বে। বিশেষ করে করপোরেশনের আয় বৃদ্ধিতে জিআইএস পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, নগরে কোনো জিআইএস ডিজিটাল ম্যাপ নেই। নগরে কী কী সম্পদ আছে তা জানা সবার উচিত। এমনকি সিটি করপোরেশনের স্বার্থ সংরক্ষণে এ ম্যাপ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ জিআইএস ডিজিটাল ম্যাপের মাধ্যমে নগরে কোথায় কী আছে তা এক নজরে দেখতে পারবে নগরবাসী।

এ ডিজিটাল ম্যাপের মাধ্যমে ঘরের নিরাপত্তার বিষয়গুলো দেখা সম্ভব। এর জন্য দরকার হবে একটি এলইডি টিভি আর স্মার্ট ফোন। বর্তমানে সবার হাতে স্মার্ট ফোন। চসিকের দিক থেকে এ জিআইএস ডিজিটাল প্রযুক্তি নিয়ে আসাই এখন আমাদের প্রধান কাজ। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম প্রধান শর্ত নগরব্যাপী একটি স্বনির্ভর নেটওয়ার্ক। যার মাধ্যমে চসিকের পরিষেবা পৌঁছে যাবে নগরবাসীর দোরগোড়ায়। এই জিআইএস ডিজিটাল ম্যাপের মাধ্যমে ৪১টি ওয়ার্ডের সব স্থাপনা রাস্তাঘাট, দালান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, টার্মিনাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিল্পকারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উন্মুক্ত এলাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

স্মার্ট সিটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জিআইএস ম্যাপের সাহায্যে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নগরের ভূমিধস, জলাবদ্ধতা, যানজট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, অপরিকল্পিত নগরায়নের সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানে কারিগরি ব্যবহারিক তথ্য সংগ্রহ, প্রাসঙ্গিক উৎস কারণ ও ইতিবৃত্ত সংগ্রহপূর্বক তার পরিকল্পিত সমাধান ও তাৎক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করা যাবে।

ড. মোল্লা মোহাম্মদ আওলাদ হোসাইন জানান, বর্তমান বিশ্বে সেরা ১০ স্মার্ট সিটির তালিকায় আছে সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ডের জুরিক, জেনেভা সিটি, নরেওয়ে, আসলো সিটি, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড সিটি স্পেনের বিলবাও সিটি, জার্মানির ডাসেলড্রফট সিটি, তাইওয়ানের তাইফো সিটি, ও ডেনমার্কের কোপেনহেগেন সিটি। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এ তালিকায় যুক্ত হবে চট্টগ্রামের নাম।

জাইকা প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

এদিকে সলিড ওয়েস্টম্যানেজমেন্টের প্রকল্প প্রধান মাসাহিরো সাইতোর নেতৃত্বে জাইকার একটি প্রতিনিধি দল চসিকের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে আলাপকালে সিটি মেয়র নগর বর্জ্য অপসারণ কাজের উন্নয়নে ৪৫-৫০টি ফ্রোটো টাইপ রিকশাভ্যানের কথা প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন।

বর্তমানে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে নগরে জাইকার অর্থায়নে ১৩টি কম্পেকটর ট্রাক ও ৬টি রিকশাভ্যান বর্জ্য অপসারণ কাজে  নিয়োজিত আছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম, ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, জাইকার প্রতিনিধি দলের সদস্য আহরার হাসান, সাইফুদ্দিন সাগর ও মারুফ সিদ্দিকী।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।