ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মুজিববর্ষের সাংস্কৃতিক উৎসবের সূচনা হবে চট্টগ্রামে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
মুজিববর্ষের সাংস্কৃতিক উৎসবের সূচনা হবে চট্টগ্রামে শিল্পকলায় তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনা

চট্টগ্রাম: সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ঘোষিত ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হবে। আগামী মার্চ-এপ্রিলে এ উৎসব হবে। এতে নাটক, গান, আবৃত্তি, নৃত্যসহ শিল্প সাহিত্যের সবক্ষেত্রের সম্মিলন ঘটানো হবে। আর বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় এ উৎসবের সূচনা করা হবে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের যুগপূর্তিতে বছরব্যাপী উৎসবের সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি চর্চার সংগঠনগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তরুণদের অংশগ্রহণ খুশির বিষয়।

এ তরুণরাই আগামীর সাংস্কৃতিক আন্দোলন এগিয়ে নেবে।

তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক চর্চার অনুষ্ঠানগুলোতে বঙ্গবন্ধু চর্চার জন্য ১০ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখতে হবে।

তবেই নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আরও বেশি জানতে পারবে।

সংগঠনের সভাপতি ভাগ্যধন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জোবায়ের, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

চট্টল ইয়ুথ কয়ার

দুপুরে বন্দর কর্তৃপক্ষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক সংগঠন 'চট্টল ইয়ুথ কয়ার' আয়োজিত 'মুজিব বর্ষবরণ' ও বছরব্যাপী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।

বীরকন্যা প্রীতিলতার ভাস্কর্য পরিদর্শন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ তিনি বলেন, মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচিতে শিশু-কিশোরদের সম্পৃক্ত করতে হবে| এতে তারা বঙ্গবন্ধুর দর্শন, চেতনা ও আদর্শ সম্পর্কে জানতে পারবে এবং নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে পারবে। এ ব্যাপারে অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলা ছাড়া শিক্ষা পূর্ণতা পায় না। প্রকৃত শিক্ষা অর্জনে এ তিনটি বিষয়ের সমন্বয় ঘটাতে হবে। শিশুদের মধ্যে জানার আগ্রহ ও কৌতূহল বাড়াতে হবে, তাদের স্পৃহা জাগ্রত রাখতে হবে।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টুল ইয়ুথ কয়ারের সভাপতি মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মমিনুর রশিদ আমিন, চট্টল ইয়ুথ কয়ারের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট মনজুর মাহমুদ খান, চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএ'র সভাপতি মনসুর আহমেদ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রফিয়া খাতুন। স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টল ইয়ুথ কয়ারের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক সুজিত দাশ অপু।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী নগরের থিয়েটার ইনস্টটিউটে স্বদেশ আবৃত্তি সংগঠন আয়োজিত প্রতিযোগিতার স্বর্ণপদক প্রদান ও ‘মুজিব মানে মুক্তি’ শীর্ষক ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন।

প্রতিমন্ত্রী ভাষার শুদ্ধ চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, নতুন প্রজন্মকে বহুভাষা মিশ্রিত ভাষা শেখানো যাবে না। বাংলা ও বাঙালিত্বের পরিচয়ে তাদের গড়ে তুলতে হবে।

দুপুরে তিনি চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট কালচারাল কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ এবং চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে অবস্থিত 'বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার'র ভাস্কর্য পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।