ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১ বছরের মধ্যে কালুরঘাট সেতুর কাজ দৃশ্যমান করবেন মোছলেম

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
১ বছরের মধ্যে কালুরঘাট সেতুর কাজ দৃশ্যমান করবেন মোছলেম

চট্টগ্রাম: আগামী এক বছরের বোয়ালখালীবাসীর বহুল কাঙ্ক্ষিত কালুরঘাট সেতু নির্মাণের কাজ দৃশ্যমান হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনের ফলাফলে বেসরকারিভাবে বিজয়ী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে বিজয়ী হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান তিনি।

মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, বোয়ালখালীবাসী তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী বহুল কাঙ্ক্ষিত বিষয় কালুরঘাট সেতু।

কালুরঘাট সেতুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক। যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রীও বলেছেন কালুরঘাট সেতুর ব্যাপারে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
আমার প্রথম কাজ হবে কালুরঘাট সেতু নির্মাণের কাজ তরান্বিত করা। আগামী এক বছরের মধ্যেই কালুরঘাট সেতু নির্মাণের কাজ দৃশ্যমান হবে।

তিনি বলেন, বোয়ালখালীর যেসব এলাকায় পর্যাপ্ত উন্নয়ন হয়নি সেসব এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো। এ আসনে নগরের যেসব ওয়ার্ড পড়েছে সেসব এলাকার সিটি করপোরেশনের সহায়তায় জনগণের মৌলিক সমস্যা সমাধান ও উন্নয়নে কাজ করবো।

মোছলেম উদ্দিন আহমেদ চট্টগ্রাম-৮ আসনের জনসাধারণ ও দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় মোছলেম উদ্দিনের সঙ্গে ছিলেন সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, এ বিজয়কে আওয়ামী লীগের বিজয় হিসেবে দেখছি। জনগণের রায়ের প্রতিফলন হয়েছে এ নির্বাচনে। ইভিএম নিয়ে বিএনপি যে মিথ্যাচার করেছিল তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

সোমবার রাতে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান নগরের জিমনেশিয়াম মাঠের অস্থায়ী কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

নৌকা প্রতীক নিয়ে মোছলেম উদ্দিন আহমেদ মোট ভোট পেয়েছেন ৮৭ হাজার ২৪৬টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মো. আবু সুফিয়ান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৩৫টি।

ঘোষিত ফলাফলে মোছলেম উদ্দিন ও আবু সুফিয়ান ছাড়া অন্য প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ১৮৫ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চেয়ার প্রতীক নিয়ে ৯৯২ ভোট, ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত কুঁড়েঘর প্রতীক নিয়ে ৬৫৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক আপেল প্রতীক নিয়ে ৫৬৭ ভোট পেয়েছেন।

এবারের উপ-নির্বাচনে মোট ১৭০টি কেন্দ্রে চার লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৫ ভোটার ছিলেন। তবে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময়ে ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৮ হাজার ৫৮১ ভোটার। যা মোট ভোটের ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে সম্পূর্ণ ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে মহাজোটের প্রার্থী মঈন উদ্দীন খান বাদল নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে জয় পান। সেই সময় তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৫৯ হাজার ১৩৫ ভোট পান।

গত বছরের ৭ নভেম্বর ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হৃদরোগ রিসার্চ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদল। এরপর তার আসন শূন্য ঘোষণা করে সেখানে উপ-নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ০০২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
এমএম/এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।