রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাসির উদ্দিন আহমেদকে এরকম নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় সিআরবিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের জায়গা পরিদর্শনে যান তিনি।
সিআরবির গোল চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের ঘোষণা দিয়ে চত্বরের চারপাশ ঘুরে দেখেন ফজলে করিম।
জিএম নাসির উদ্দিন আহমেদকে ফজলে করিম বলেন, চত্বরে আশেপাশে কারা ময়লা ফেলে? তাদের নাম দেন, তাদের এখানে থাকার অধিকার নেই। যারা যত্রতত্র ময়লা ফেলছে, এগুলো নিয়ে তাদের ঘরের মধ্যে ফেলেন। দেখবেন ময়লা আর ফেলবে না।
তিনি বলেন, পাশেই রেডিসন ব্লু, সেখানে যারা বিদেশিরা আছেন তারা হাঁটতে হাঁটতে এখানে আসেন। ময়লা-আবর্জনা্ দেখলে তারা কী মনে করবেন। আমরা একটি সুষ্ঠু পরিবেশ চাই এখানে। সিঙ্গাপুরের আদলে সিআরবিকে গড়া হবে। যত টাকাই লাগুক। আর আপনারা না পারলে আমাকে বলেন, আমি স্পন্সর দিয়ে কাজটি করিয়ে নেবো।
আরএনবির প্রধান ইকবাল হোসেনকে ফজলে করিম বলেন, গাছের মধ্যে ব্যানার কেন? সব ব্যানার সরিয়ে ফেলবেন। যতবড় মাস্তানই হোক। এটি মাস্তানি করার জায়গা নয়।
সিআরবির গোলচত্বর হয়ে রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে ফজলে করিম দেখেন সড়কের পাশঘেঁষে ময়লা-আবর্জনা। তিনি এ সময় জিএমকে বলেন, এসব ময়লা-আবর্জনা সবসময় পরিষ্কার রাখবেন। সড়কজুড়ে ফুলের চারা রোপণ করবেন।
কার্যালয়ে যাওয়ার আগে ফজলে করিম প্রধান ফটকে ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে জিএম নাসির উদ্দিনকে বলেন, এই যে ভবনের এই পাশ থেকে ওইপাশ দেখা যাচ্ছে সেখানে কয়েকটা ইট গেঁথে দিলে কী হতো? বারান্দায় একদিনের মিস্ত্রি এনে কাজ করিয়ে নিলে কী হতো?
এ সময় প্রধান প্রকৌশলী সংস্কার করা হবে বলে আশ্বস্ত করলে ফজলে করিম বলেন, আমি যে ঘরে থাকি সেটিও অনেক পুরোনো। ৩০০ থেকে ৪০০ বছর পুরনো। কই আমি তো বেশ পরিপাটি রাখছি। তাহলে এখানে পরিপাটি নয় কেন।
পরিত্যক্ত গাড়ি পড়ে থাকতে দেখে ফজলে করিম বলেন, আপনার প্রধান কার্যালয়ের সামনে পরিত্যক্ত গাড়ি কেন? এই গাড়িটি সরিয়ে ফেললে সুনাম বাড়তো না কমতো? শুনেন এগুলো দেখেন।
এ সময় মহাব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ নিরুত্তরই ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
জেইউ/টিসি