ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢালাও সড়ক কাটতে পারবে না ওয়াসা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২০
ঢালাও সড়ক কাটতে পারবে না ওয়াসা ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম: নগরে পানির পাইপলাইন বসানোর জন্য যখন যেখানে খুশি সড়ক কাটতে পারবে না চট্টগ্রাম ওয়াসা। সিটি করপোরেশন থেকে ধাপে ধাপে ২-১ কিলোমিটার করে দেওয়া হবে অনুমোদন। আগে সড়ক কাটা বাবদ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চাইলে ওয়াসা সড়ক মেরামতও করতে পারবে।

রোববার (৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চসিক-ওয়াসার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ,  চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, বিভিন্ন দাতা ও উন্নয়ন সংস্থার অর্থায়নে ওয়াসা নগরে নতুন পাইপ লাইন বসানোর কাজ করছে। আগামী মার্চ বা জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

নয়তো প্রকল্পের টাকা ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে পাইপ লাইনের জন্য সড়ক কাটতে হলেও ঢালাওভাবে অনুমোদন দেবে না চসিক। ধাপে ধাপে সড়ক কাটতে হবে। এক-দুই কিলোমিটার কেটে তা মেরামত করে পরের ধাপে যেতে হবে।

তিনি জানান, আগে সড়ক কাটা বাবদ চসিককে টাকা দিত ওয়াসা। কিন্তু তারা অনুমোদনের চেয়ে বেশি কেটে ফেলায় কিংবা নানা কারণে ওই টাকায় মেরামত সম্ভব হতো না। তাই এখন থেকে দুইটি অপশন থাকবে। আগের মতো সড়ক কাটিং বাবদ টাকা দেওয়া এবং ওয়াসা নিজ উদ্যোগে সড়ক মেরামত করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া।

সূত্র জানায়, ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ির জন্য চসিকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। যানজট, দুর্ভোগ, ধুলোবালি, কাদামাটিতে একাকার হচ্ছে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। একই সড়ক একাধিকবার একাধিক সংস্থা কাটছে। এতে মেরামত করেও সুফল মিলছে না। একদিকে সমন্বয়ের অভাব, অন্যদিকে জনদুর্ভোগ লেগেই আছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যই মূলত মন্ত্রণালয়ের বৈঠক।

চিটাগাং ওয়াটার সাপ্লাই ইম্প্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন (সিব্লিউএসআইএসপি) প্রকল্পের আওতায় পাইপ লাইন বসানোর জন্য ২০১৮ সালের মে মাসে সড়ক কাটার জন্য চসিকের অনুমতি নেয় ওয়াসা। বহাদ্দারহাট থেকে মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, কলেজ রোড, জামাল খান, বোস ব্রাদার্স, নিউ মার্কেট, সদরঘাট হয়ে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত সড়ক কাটার কথা ছিল। এখানে সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৩০ কিলোমিটার। সড়ক কেটে ১ দশমিক ২ মিটার, শূন্য দশমিক ৯০ মিটার এবং শূন্য দশমিক ৩০ মিটার ও অন্যান্য ব্যাসের পাইপ লাইন বসানোর কথা।

ওয়াসার প্রকল্পের মেয়াদ আছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। শেষ হবে ২০২০ সালের মধ্যে। কর্ণফুলী পেজ-১ এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। সিব্লিউএসআইএসপি প্রকল্পের জুন মাসে শেষ হবে। কর্ণফুলী পেজ-২ এর কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

>> সড়ক কাটা বাবদ সাড়ে ৬ কোটি টাকা দিলো ওয়াসা

বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।