ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাড়ার পর কমছে পেঁয়াজের দাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২০
বাড়ার পর কমছে পেঁয়াজের দাম বড় পেঁয়াজে অভ্যস্ত হচ্ছেন ভোক্তারা।

চট্টগ্রাম: বৃষ্টির কারণে সরবরাহে কমে যাওয়ায় কয়েকদিন দাম বাড়ার পর এবার কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।

রোববার (৫ জানুয়ারি) খাতুনগঞ্জের আড়তে মান ও আকার ভেদে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৪৫-১৫০ টাকা, চীনা ৬০ টাকা, পাকিস্তানি ১২০-১২৫ টাকা, তুরস্কের ৬০-৬৫ টাকা, নেদারল্যান্ডসের ৮০ টাকা বিক্রি হয়েছে। কয়েকদিনে এসব পেঁয়াজের দাম বেড়েছিলো ১০-২০ টাকা পর্যন্ত।

চট্টগ্রামের বাজারে দেশি পেঁয়াজের (মুড়িকাটা) সরবরাহ নেই বললেই চলে।

>> বিচিত্র সব পেঁয়াজের সঙ্গে পরিচয়ের বছর

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টির কারণে চাষিরা মাঠ পর্যায়ে পেঁয়াজ সংগ্রহ করতে না পারা এবং মিয়ানমার থেকে আমদানি কমে যাওয়ায়  দেশে সরবরাহ চেনে কিছুটা ঘাটতি দেখা দেয়।

দুই দিন চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছিলো।

তিনি জানান, দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ চট্টগ্রামের বাজারে নেই বললেই চলে। এগুলো ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে বেশ। তবে রোববার ঢাকার বাজারেও সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমছে বলে খবর পেয়েছি।

বড় পেঁয়াজে অভ্যস্ত হচ্ছেন ভোক্তারা। রোববার (৫ জানুয়ারি) টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আসা মিয়ানমারের পেঁয়াজ বোঝাই ১২ ট্রাক খাতুনগঞ্জে ঢুকেছে।

পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবরে প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। চীন ও তুরস্কের বড় পেঁয়াজ খুচরায় ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ছোট আকারের পেঁয়াজগুলো ১২০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর থেকে মানুষ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিচিত্র সব পেঁয়াজ কিনতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। যদিও গৃহিণীদের প্রথম পছন্দ ছোট আকারের দেশি কিংবা সুন্দর লাল পেঁয়াজগুলো।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মো. আসাদুজ্জামান বুলবুল বাংলানিউজকে জানান, রোববার (৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চীন থেকে আসা ১৯১ টন, পাকিস্তানের ১৩৩ টন ও তুরস্কের ২৫ টন পেঁয়াজের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এসব পেঁয়াজসহ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এ পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৪২ হাজার ৪৬৩ টন পেঁয়াজ। আমদানির অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৫ টন।  

তিনি জানান, শনিবার (৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত তুরস্ক থেকে ১৩ হাজার ১৯৭ টন, চীন থেকে ১২ হাজার ৯৮০ টন, মিশর থেকে ৯ হাজার ৭০০ টন, পাকিস্তান থেকে ২ হাজার ৮৪৯ টন, মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ২২৮ টন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ৬৯২ টন, শ্রীলংকা (পুনঃরপ্তানি) ৬১৩ টন, নেদারল্যান্ডস থেকে ৭৫৭ টন পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হয়েছে। এর বাইরে ট্রলারে করে প্রতিদিনই মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসছে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, রোববার ১০টি ট্রাকে ১ টন করে পেঁয়াজ দেওয়া হয়েছে নগরে বিক্রির জন্য। ৩৫ টাকা দরে জনপ্রতি ২ কেজি পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে টিসিবির ট্রাকে।

বাংলাদেশ সময়:  ১৯৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।