ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভিআইপিসহ রেলের কর্মকর্তার নামেও টিকিট সংরক্ষণ করা যাবে না

জমির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
ভিআইপিসহ রেলের কর্মকর্তার নামেও টিকিট সংরক্ষণ করা যাবে না ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম: অটো কোটা ব্যতিত কারওর নামে ট্রেনের টিকিট সংরক্ষণে না রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। ফলে ভিআইপি থেকে শুরু করে স্বয়ং রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নামেও ট্রেনের টিকিট রাখা যাবে না।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে এমন নির্দেশনা পাওয়ার পর সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) থেকে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিচারপতি, মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধীসহ কিছু অটো কোটা ব্যতিত কারওর নামে টিকিট সংরক্ষণ রাখা যাবে না।

স্বয়ং রেলওয়ের কর্মকর্তার নামেও না।

তিনি বলেন, এতোদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নামে টিকিট রাখার কারণে যাত্রীরা টিকিট পেতেন না।

এমনকি শেষ পর্যায়ে সংরক্ষিত টিকিট বিক্রি না হলে সরকারও রাজস্ব হারাতো। এখন থেকে আশা করছি, যাত্রীরা কোনো ভোগান্তি ছাড়াই টিকিট পাবেন।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) আনসার আলী বাংলানিউজকে বলেন, এ নির্দেশনা প্রত্যেক কাউন্টার ও স্টেশন ম্যানেজারের কাছে পাঠানো হয়েছে। সোমবার থেকে তারা এটির বাস্তবায়ন করছেন। আমি নিজেও এটির তদারকি করছি।

যেভাবে টিকিট সংরক্ষণে রাখা হতো

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রত্যেক রেলওয়ে স্টেশনে কর্মকর্তারা সুকৌশলে অনুরোধের টিকিট রেখে দিতেন। কম্পিউটারে ব্লকিং করে তারা এ কাজ করতেন।

সাধারণত প্রত্যেক ট্রেনের টিকিট দেওয়া হয় ১০ দিন আগে। প্রথম দিন কিছু টিকিট ছেড়ে দেওয়ার পর বাকি টিকিটগুলো মন্ত্রী, এমপি, প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রেলওয়ের কর্মকর্তাদের নামে কম্পিউটারে ব্লকিং করে স্টেশনে কাউন্টারে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা টিকিট রেখে দিতেন। এরফলে সাধারণ যাত্রীরা কাউন্টারে গিয়েও কোনো টিকিট পেতেন না, তারা কম্পিউটার স্ক্রিনে আসন শূন্য দেখতে পেতেন।

রেলওয়ের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকেএমন অভিযোগ আসার পর প্রত্যেক স্টেশনের কম্পিউটারে ২৮ দিনের ব্লক লিস্ট চেক করা হয়। সেখানে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মিলিয়ে প্রায় ৬৮ জনের নাম পাওয়া যায়, যাদের নামে টিকিট সংরক্ষণে রাখা হতো। এ তালিকায় এমপি ও প্রভাবশালী ব্যক্তি যেমন আছেন, তেমনি রেলওয়ের কর্মকর্তার নামও রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯

জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।