ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লাল-সবুজে রঙিন চসিকের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
লাল-সবুজে রঙিন চসিকের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম: ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’, ‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘নোঙর তোলো তোলো সময় যে হলো হলো’, ‘তীরহারা এ ঢেউয়ের সাগর’ কালজয়ী সব গান। তার সঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত খুদে শিক্ষার্থীদের শৈল্পিক ডিসপ্লে মুগ্ধ করেছে হাজারো অভিভাবক, শিক্ষক আর দর্শক-শ্রোতাদের।

বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ বাকলিয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, কাউন্সিলর মো. সেলিম উল্লাহ, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, আবিদা আজাদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া প্রমুখ।

ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে কুচকাওয়াজ উদ্বোধন করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলাদেশ পূরণে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ১১ বছর ধারাবাহিকভাবে এদেশ পরিচালনা করছেন। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ সাহসী পরিচালনায় দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। এ লক্ষ্য পূরণে সব নাগরিককে দেশপ্রেম নিয়ে পাশে দাঁড়াতে হবে। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। যাদের আত্মত্যাগে এ স্বাধীনতা তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা বলেন, আজ থেকে ৪৮ বছর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে বীর মুক্তিযুদ্ধরা যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন। আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আকর্ষণীয় কুচকাওয়াজ উপহার দিয়েছে।

কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লের বিচারক ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতার, আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন।

প্রথম ডিসপ্লে প্রদর্শন করে পাঁচলাইশ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় গাইড দল। এরপর পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন বালিক উচ্চ বিদ্যালয়সহ একে একে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৫ মিনিট স্থায়ী ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। কখনো স্মৃতিসৌধ, কখনো মুক্তিযুদ্ধ, কখনো লাল সবুজের উত্তাল ঢেউ মূর্ত করে তোলে শিক্ষার্থীরা। দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হয় পুরস্কার বিতরণ পর্ব।

এর আগে সকালে আন্দরকিল্লায় পুরনো সিটি করপোরেশন সদর দফতরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। সেখান থেকে মেয়র টাইগারপাসে বিন্না ঘাস প্রকল্পে নগর যুব মহিলা লীগ স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।