২৩ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে কার্যক্রম শুরু করে হাল্ট প্রাইজ। এতে ১৭২টি দল নিজেদের 'সামাজিক ও ব্যবসায়িক ধারণা' তুলে ধরে।
শুক্রবার সেমিফাইনাল পর্ব শেষে ৬টি দলকে ফাইনালের জন্য মনোনীত করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজয়ী দলটি পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয়ী দলের সঙ্গে রিজিওনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করবে।
প্রতিযোগিতায় সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন, কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের হেড অফ সাপ্লাই চেন আদনানুল হাদি, স্টার্ট আপ চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা আরাফাতুল ইসলাম, নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেডের টেরিটরি অফিসার আসিফ সিদ্দিকি এবং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন রাশেদ। বিজয়ীদের পুরস্কার এবং আয়োজক ও ভলান্টিয়ারদের সনদ বিতরণ করেন অতিথিরা।
হাল্ট প্রাইজ ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। নতুন নতনু সামাজিক ও ব্যবসায়িক ধারণা বের করে সে সম্পর্কিত সমস্যা সমধান করা সংগঠনটির মূল লক্ষ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। বিজয়ী দলকে ১মিলিয়ন ডলার পুরস্কার প্রদান করা হয়।
হাল্ট প্রাইজ চবির চিফ অফ অর্গানাইজার উম্মে হাফসা বাংলানিউজকে বলেন, 'হাল্ট প্রাইজ'র এ বছরের থিম ছিল 'উপার্জিত প্রতিটি ডলার থেকে পরিবেশের উপর যেন ইতিবাচক প্রভাব পড়ে'। এ থিম অনুসারে আমাদের প্রতিযোগী দলগুলো তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করে। প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে সবচেয়ে ভালো আইডিয়া উপস্থাপনকারী দলকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়েছে।
বিজয়ী দলের মিম মালিহা বাংলানিউজকে বলেন, হাল্ট প্রাইজ অন ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। পরবর্তী ধাপে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মূল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। চবিকে, দেশকে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরতে চাই।
বাংলাদেশের সময়: ১৫৩৮ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
এমআর/টিসি