অন্নদা ঠাকুরের ১২৯তম আবির্ভাব উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণে তিন দিনের বর্ণাঢ্য আয়োজনের উদ্বোধনী দিন অনাথালয় ভবনের ভিত্তি স্থাপন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন চট্টগ্রামের সেকেন্ড সেক্রেটারি শুভাশিষ সিনহা ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী।
শ্রীশ্রী অন্নদা ঠাকুর আদ্যাপীঠ রামকৃষ্ণ সংঘের সভাপতি দিলীপ কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সংঘের সাধারণ সম্পাদক কাম ট্রাস্টি শ্যামল কুমার পালিত।
এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐতিহ্য। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। স্বাধীন ভাবে মানুষ নিজ নিজ ধর্মানুষ্ঠান পালন করবে। আদ্যাপীঠের কল্যাণমুখী কার্যক্রমে সম্প্রীতর বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।
বিশ্ব পরিব্রাজক মুরালি ভাই বলেন, একটি সমাজ শুধু পুরুষের ওপর নির্ভর করে এগোতে পারে না। সমাজে যদি মায়েদের শক্তি ব্যবহার করা না যায় তবে সমাজ এগোবে না।
তিনি বলেন, যে ধর্ম বিধাতার চোখের জল মোছাতে পারে না, নিরন্নের মুখে অন্ন দিতে পারে না সেটা ধর্ম নয়। আদ্যাপীঠ মানবতার কল্যাণে কাজ করছে। অনাহারীর মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছে। অনাথ ও বিধবাদের আশ্রয় দিচ্ছে। মানব সম্পদ উন্নয়নে কাজ করছে।
শুভাশিষ সিনহা বলেন, আদ্যাপীঠের প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে। প্রয়োজনে ভারতীয় দূতাবাস এ প্রতিষ্ঠানে সহায়তা দেবে।
শ্যামল কুমার পালিত বলেন, দক্ষিণেশ্বরের আদ্যাপীঠের আদলে ১৯৯৪ সালে রাউজানে শ্রীশ্রী অন্নদা ঠাকুরের জন্মভিটায় বিশ্ব পরিব্রাজক মুরালি ভাইয়ের উদ্যোগে চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও হিন্দুধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় ছোট্ট পরিসরে আদ্যাপীঠ মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে। এরপর ২০১৭ সালে ১০ একর জমি অধিগ্রহণ করে আদ্যাপীঠের কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছেন রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। আদ্যাপীঠ মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাবে।
এ সময় ৩৫০ ফুট দীর্ঘ ২৫০ ফুট প্রস্থের একটি সরোবরের নাম রাখা হয় ফজলে করিম সরোবর। ২৫০ ফুট দীর্ঘ ও ২৫০ ফুট প্রস্থের আরেকটি সরোবরের নাম রাখা হয় মুরাল ভাই সরোবর।
তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ৩০ হাজার ভক্তকে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
উদ্বোধনী দিনে সংগীত পরিবেশন করে হাজারো স্রোতাকে মাতিয়ে রাখেন জিবাংলার সারেগামাপা’র শিল্পী অদিতি মুন্সী।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
এআর/টিসি