ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও চেতনা এক জিনিস নয়: মেয়র নাছির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও চেতনা এক জিনিস নয়: মেয়র নাছির বক্তব্য দেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও চেতনা এক জিনিস নয় উল্লেখ করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নারকীয় হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হত্যা করতে চেয়েছিল।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে ‘বিজয়ের শেষ ৩ দিন কেমন ছিল চট্টগ্রাম’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) চট্টগ্রাম অফিস এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মেয়র বলেন, অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়েছি, যারা হাসিমুখে জীবন উৎসর্গ করেছেন। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।

অনেকে জীবন সায়াহ্নে। স্বাধীন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের বীরত্বগাথা হৃদয় দিয়ে বুঝতে হবে। তাদের অবদানে এ দেশ পেয়েছি আমরা।

তিনি বলেন, বাসস আয়োজিত বিজয়ের শেষ ৩ দিন, কেমন ছিল চট্টগ্রাম শীর্ষক অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্ম বীরত্বগাথা জানবেন। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক। মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর পেছনে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনকের ভূমিকা বলিষ্ঠ। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। যারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল তাদের ব্যর্থতার প্রতিশোধের জন্য এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। শিশু রাসেলের বয়স ছিল ১০ বছর। তাকে বেয়নেট দিয়ে নিষ্ঠুর, অমানবিকভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তার একমাত্র কারণ বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান ছিল।

মেয়র তরুণদের উদ্দেশে বলেন, পাকিস্তান আমলে অফিসে, আদালতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কী ধরনের বৈষম্য ছিল তা দাদা-দাদির কাছে শুনতে হবে। বঙ্গবন্ধু বৈষম্য থেকে মুক্তি দিতে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ হিসেবে গড়ছেন।

আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, মোহাম্মদ হারিছ, এবিএম খালেকুজ্জামান দাদুল, আবু সাঈদ সর্দার, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, প্রফেসর মোহাম্মদ মইন উদ্দিন, ফেরদৌস হাফিজ খান রুমু, নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, রেজাউল করিম চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, মোজাফফর আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মনজুরুল আলম মঞ্জু।

মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ফুল তুলে দেন মেয়র। মেয়রের হাতে ফুল তুলে দেন বাসসের সাংবাদিকরা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বাসসের চট্টগ্রাম প্রধান কলিম সরওয়ার। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। ৩০ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো ২ লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগে আমাদের স্বাধীনতা। শিশু-কিশোররা বই পড়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জেনেছে। তাদের অনেক কৌতূহল। তাই জীবন্ত কিংবদন্তি বীর সেনানিদের নিয়ে আমাদের এ আয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।