ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চীনা পেঁয়াজ আড়তে ৩০, খুচরায় ৫৫-৬০ টাকা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
চীনা পেঁয়াজ আড়তে ৩০, খুচরায় ৫৫-৬০ টাকা চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে এ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তে প্রতিকেজি চীনা পেঁয়াজের সর্বনিম্ন ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মান ভেদে বড় বড় বাদামি-সাদা এ পেঁয়াজ আড়তে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। সংকটকালে পাইকারিতে এ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকায়। খুচরা পর্যায়ে ছিল ১৩০ টাকা।

চীনা পেঁয়াজের দরপতনের প্রভাবে তুরস্কের বড় বড় লাল পেঁয়াজ এমনকি মিয়ানমারের ছোট পেঁয়াজেরও দাম কমেছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে তুরস্কের পেঁয়াজ ৮০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

  

>> পেঁয়াজের জোগান বাড়ছে, কমছে দাম 

মূলত আমদানি বৃদ্ধি, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাক সেল, চাহিদা কমে যাওয়া, দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসাসহ নানা কারণে পেঁয়াজের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন আড়তদারেরা।  

নগরের আসকার দীঘির পশ্চিম পাড়ের মিতা স্টোরে চীনা পেঁয়াজ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।

কাজীর দেউড়ি বাজারে এ পেঁয়াজ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, চীনা বড় পেঁয়াজগুলোর স্বাদ, ঝাঁজ দেশি, মিয়ানমার, ভারতের নাসিকের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু তুলনামূলক সস্তা হওয়ায় মোটামুটি ভালোই বিক্রি হচ্ছে।

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় পাইকারি বিপণিকেন্দ্র হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলানিউজকে বলেন, মিয়ানমার, চীন ও তুরস্কের পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। সরবরাহের তুলনায় পাইকারি বাজারে চাহিদা ও বিক্রি দুটোই কম। পেঁয়াজের দরপতনে আমদানিকারকদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে এ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা।  ছবি: বাংলানিউজএক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি বা দরপতনে আড়তদারদের কোনো লাভ-লোকসান নেই। আমরা শুধু কেজি প্রতি ৩০ পয়সা করে আড়তদারি পেয়ে থাকি।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মো. আসাদুজ্জামান বুলবুল বাংলানিউজকে জানান, পেঁয়াজ আমদানির জন্য গত ১২ অক্টোবর থেকে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের অনুমতিপত্র (আইপি) নেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৩৫ টনের।

ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ খালাস হয়েছে ১৮ হাজার ৭৯৯ টন। এর মধ্যে মিশর থেকে এসেছে ৬ হাজার ৫১১ টন, চীন থেকে ৪ হাজার ৬৪০ টন, মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ৪৮৭ টন, তুরস্ক থেকে ৪ হাজার ৮৬৬ টন, ইউএই থেকে ৫৫৩ টন, পাকিস্তান থেকে ৮৬১ টন ও শ্রীলঙ্কা থেকে ১৪০ টন পেঁয়াজ।

উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর শাখার উপ-পরিচালক ড. মো. আসাদুজ্জামান বুলবুল বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি ইস্যু, বন্দর থেকে পণ্য খালাসে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের ছাড়পত্র ইস্যুকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। বন্দর দিয়ে প্রতিদিনই পেঁয়াজের কনটেইনার আসছে। পাইপ লাইনেও প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে। আশাকরি, কিছু দিনের মধ্যেই পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল হয়ে যাবে।

এদিকে চট্টগ্রামে টিসিবির পাশাপাশি চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) উদ্যোগে ভর্তুকিমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad