আবেগতাড়িত কণ্ঠেই বললেন, এই বিজয় মঞ্চে আমি নই, থাকার কথা ছিলো মহিউদ্দিন চৌধুরীর। এখানে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলতেন তিনি।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ আয়োজিত বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে হাসিনা মহিউদ্দিন এসব কথা বলেন।
হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, আজ এখানে লালদিঘির ময়দানের চেয়েও বড় সমাবেশ হয়েছে। এখানে আমার অনেক ভাই-বোনেরা এসেছেন। আমি জানি আপনাদের এখানে আসার পেছনে একটাই কারণ মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রতি আপনাদের ভালোবাসা।
‘আমি আপনাদেরকে একটাই অনুরোধ করবো। শুধু একটি কথাই বলে যাবো। আপনারা সবাই মহিউদ্দিন চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করবেন। তার জন্য দোয়া করবেন। ’
হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, একদিন চট্টগ্রামের জন্য চট্টগ্রামবাসীর জন্য মহিউদ্দিন চৌধুরীকে উৎসর্গ করেছিলাম। আজ চট্টগ্রামের জন্য চট্টগ্রামবাসীর জন্য আমাদের সন্তান ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীকে উৎসর্গ করছি। আপনারা তার জন্যও দোয়া করবেন।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ আয়োজিত বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলন করেন বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মো. ইউনুছের সঞ্চালনায় বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, কোষাধক্ষ আবদুচ ছালাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক চন্দন ধর, নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৮৯ সালে চট্টগ্রামে প্রথম মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়। আমৃত্যু এ বিজয় মেলা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
এমআর/টিসি