মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত অপরিপূর্ণ শিশুর চোখের সমস্যা এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশে রোটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি স্ক্রিনিং ও চিকিৎসা সেবা বিস্তার শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন।
তিনি বলেন, নবজাতক ভূমিষ্ঠের সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিকভাবে একজন চিকিৎসকের নজরে আসে শিশুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। পরে তারা প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকেন।
চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের সিনিয়র সহকারী সার্জেন্ট ডা. উন্মে সালমা আকবরের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তারা বলেন, প্রিম্যাচিউর শিশুদের চোখের সমস্যা স্থায়ী হয়ে যাওয়ার কারণ ঠিক সময়ে তাদের চোখ বা দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা না করা। তাই ছোট থেকেই শিশুদের চোখের প্রতি নজর দিতে হবে অভিভাবকদের।
‘যেসব নবজাতক ৩৫ সপ্তাহের আগে জন্মগ্রহণ করে এবং যাদের ওজন দুই কেজির কম তাদের জন্মের তিন-চার সপ্তাহের মধ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রেটিনা বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করাতে হবে। অবশ্যই জন্মের ৩০ দিনের মধ্যে অপরিপূর্ণ নবজাতকের চোখ পরীক্ষা ও ভালো মানের চিকিৎসা দেয়ার মাধ্যমে শিশুকে সম্ভাব্য অন্ধত্ব থেকে বাঁচানো যায়। ’
চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সামস্ মোহাম্মদ নোমানের উপস্থাপনায় অপরিপূর্ণ শিশুর চোখের ব্যবস্থাপনার ওপর আলোচনা করা হয়। এতে অংশ নেন চমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শামীম হাসান, চমেকের মহিলা ও ধাত্রী বিভাগের বিভাগী প্রধান অধ্যাপক ডা. শাহানারা চৌধুরী, আইএইচএল এর কনসালটেন্ট ডা. ফয়সাল আহমদ, চমেকের উপধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. নাছির উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।
পিটার গিলগ্যান ফাউন্ডেশনের সহায়তায় অরবিস ইন্টারন্যাশনাল ‘বাংলাদেশে রোটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি স্ক্রিনিং ও চিকিৎসা সেবা বিস্তার’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। চট্টগ্রাম ও রংপুরে পরিচালিত এ প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে অপরিণত নবজাতক শিশুদের চোখের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে স্ক্রিনিংসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় ১৯৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
এমএম/টিসি