দিনভর হাটহাজারী ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফটিকছড়ির বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধা এবং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জওয়ানরা কামান এবং অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিজয়ের মিছিল নিয়ে নাজিরহাটে সমবেত হন। কিন্তু তাদের সামনে যে বিপদ অপেক্ষা করছিল, তা বুঝতে পারেননি কেউ।
সেদিন সন্ধ্যায় খবর পেয়ে আবারও হাজির হয় পালিয়ে যাওয়া হানাদাররা। তারা হাটহাজারীর অদুদিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে ৩-৪টি বাসে নাজিরহাট ফিরে এসে উল্লাসরত মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ জনতার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত হানাদার বাহিনী নাজিরহাট, ফটিকছড়ি এবং হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসংযোগ, হত্যাকাণ্ড, হালদা সেতু ধ্বংসসহ নারকীয় কর্মকাণ্ড চালায়।
পাক বাহিনীর গুলিতে শহীদ ১১জনকে নাজিরহাট বাসস্টেশনে কবর দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ১১ জন শহীদের কবর অবহেলিত ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শহীদদের এ কবরে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
এসি/টিসি