ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় উৎসবে পাকবাহিনীর হামলা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৯
মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় উৎসবে পাকবাহিনীর হামলা শহীদদের কবরে স্মৃতিস্তম্ভ।

চট্টগ্রাম: হাটহাজারীর নাজিরহাটে ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। ভোরে পাকবাহিনী পিছু হটে। তারা চলে যাওয়ার পর শুরু হয় মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের আনন্দ উল্লাস।

দিনভর হাটহাজারী ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফটিকছড়ির বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধা এবং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জওয়ানরা কামান এবং অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিজয়ের মিছিল নিয়ে নাজিরহাটে সমবেত হন। কিন্তু তাদের সামনে যে বিপদ অপেক্ষা করছিল, তা বুঝতে পারেননি কেউ।

সেদিন সন্ধ্যায় খবর পেয়ে আবারও হাজির হয় পালিয়ে যাওয়া হানাদাররা। তারা হাটহাজারীর অদুদিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে ৩-৪টি বাসে নাজিরহাট ফিরে এসে উল্লাসরত মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ জনতার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এতে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। তারা হলেন-বরিশালের নায়েক তফাজ্জল হোসেন, কুমিল্লার সিপাহী নুরুল হুদা, নুরুল আফছার, খুলনার সিপাহী অলি আহম্মদ, সন্দ্বীপের সিপাহী নুরুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সিপাহী মানিক মিয়া, নাজিরহাটের ফোরখ আহম্মদ, হাসিনা খাতুন, আবদুল মিয়া ও ফরহাদাবাদের মুজিবুল হক।

১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত হানাদার বাহিনী নাজিরহাট, ফটিকছড়ি এবং হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসংযোগ, হত্যাকাণ্ড, হালদা সেতু ধ্বংসসহ নারকীয় কর্মকাণ্ড চালায়।

পাক বাহিনীর গুলিতে শহীদ ১১জনকে নাজিরহাট বাসস্টেশনে কবর দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ১১ জন শহীদের কবর অবহেলিত ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শহীদদের এ কবরে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।