এ সময় রেলপথ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাউজানের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এবং চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
আরও খবর>>
** দেশের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর হচ্ছে চুয়েটে
এর আগে চুয়েট রোবটিকস ল্যাব এবং মোবাইল গেইমস অ্যান্ড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের উদ্বোধন করেন পলক।
সেমিনারে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন-নতুন সমস্যার সমাধান করতে হবে।
পলক বলেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প ঘোষণা করেন। মাত্র ১১ বছরের ব্যবধানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭০ লাখ থেকে বর্তমানে প্রায় ১০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ ব্যবহারকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা পোস্ট শেয়ার করার কারণে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সেজন্য ডিজিটাল স্পেসকে নিরাপদ রাখতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু নিজে জেনে চুপ থাকলে হবে না। আশপাশের সবাইকে সচেতন করতে হবে। একটি ফেইক নিউজের কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তার ক্ষয়ক্ষতি থেকে আমি-আপনি কেউ নিরাপদ থাকতে পারবো না।
সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, চুয়েট হচ্ছে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ তৈরির কারিগর। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হচ্ছেন ‘ক্রিম অব দ্যা সোসাইটি। ’ চুয়েটে নির্মিতব্য আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর তরুণদের জন্য একটি বড় প্ল্যাটফর্ম। এ ইনকিউবেটরের জন্য আমি মাটি কাটতেও রাজি।
চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর দেশের মানুষের জন্য একটা ড্রিম প্রজেক্ট। এর মাধ্যমে দেশের আইটি সেক্টরের প্রত্যেকে উপকৃত হবেন। আইটি খাতে উদ্যোক্তা তৈরি ও বিভিন্ন সৃজনশীল আইডিয়াকে বাণিজ্যিক রূপ দিতে এই ইনকিউবেটর কাজ করবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও ইনকিউবেটর প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। সঞ্চালনা করেন চুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহান। উপস্থিত ছিলেন ইনকিউবেটর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ জহুরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
এমআর/টিসি