শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে কে-স্কোয়ার মিলনায়তনে টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রামের যুগপূর্তি অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি এক সপ্তাহ পেছানোতেই বিএনপির আইনজীবীদের হট্টগোলের কারণে দেশের প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতিদেরকে এজলাস ছাড়তে হয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন হবে কি হবে না, সেবিষয়ে শুনানি পেছানোতেই যদি সর্বোচ্চ আদালতে হট্টগোল হয়, জামিন হলে তারা জ্বালাও-পোড়াও করে কতটা অরাজকতা করবে, সেটি গভীর উদ্বেগের বিষয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধান বিচারপ্রতি উপস্থিত ছিলেন সেখানে তারা যে ধরনের হট্টগোল করেছে, গণ্ডগোল করেছে দেশের ইতিহাসে এটি একটি কলঙ্কজনক ঘটনা ও দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তারা যে এই প্রথম এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তা নয়। আপনাদের মনে আছে, অতীতে যারা প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল এবং বৃহস্পতিবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতিরা এজলাস ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের যে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, এটি আদালতের প্রতি হুমকিস্বরূপ। এবং আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন।
আদালতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের এধরণের আচরণ সরকার এবং বিচারবিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিচারপতি এবং বিচার বিভাগকে হুমকি প্রদর্শন, যেকারণে বিচারপতিরা এজলাস ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। দেশেরে ও আইনের স্বার্থে এবং বিচারপতিদের সম্মান রক্ষার্থে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন-যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
এমএম/টিসি