এরপর গ্রামবাংলার তিনজন প্রান্তিক কৃষক হারুনুর রশিদ, মো. সোহেল ও সোলায়মান চৌধুরী বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি বলেন, একসময় এ আয়োজন ডিসি হিলে হতো। অত্যন্ত দুর্ভাগ্য ডিসি হিল একসময় সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল, কেন জানি না একধরনের বাধার কারণে সেটা ম্রিয়মাণ হয়ে গেছে। চট্টগ্রামে তো বেশি সুযোগ নেই, উন্মুক্ত স্থানও নেই। প্রায় সব ধরনের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এখানে হতো। ডিসি হিলে বছরে এখন দু'চারটি অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান পরিচালিত না হওয়ায় ডিসি হিল অনেকটা জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। যেসব কারণে সেখানে অনুষ্ঠান আয়োজনে বাধা দেওয়া হচ্ছে সেগুলো চিহ্নিত করে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা করা যায় সেই ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করবো।
উৎসব উদযাপন কমিটির কো চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, আমাদের ডিসি হিলে সব ধরনের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, বইমেলা হতো। যেকোনো ভাবে সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পরিচ্ছন্নতার নামে। মেয়রের কাছে দাবি জানাই, ডিসি হিল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য উন্মুক্ত করতে ব্যবস্থা নেবেন।
উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম যখন বিস্তৃত করা দরকার তখন কেন জানি আমরা পেছনের দিকে হাঁটছি। ডিসি হিলে কেন সাংস্কৃতিক আয়োজন বন্ধ হয়ে গেল? আজ মেয়র মহোদয় বলেছেন, প্রয়োজনে চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে মেয়রের নেতৃত্বে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। কোন বাধায় আটকে আছে তা আমরা অপসারণ করতে চাই। সামনে মুজিববর্ষ, চট্টগ্রামে মুজিববর্ষ আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দু যেন ডিসি হিল হয় সে উদ্যোগ নিতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেলা কমিটির সমন্বয়ক রুবেল দাশ প্রিন্স, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, মুক্তিযোদ্ধা বালাগাত উল্লাহ এবং সমাজসেবক মো সাহাবউদ্দিন।
উৎসবের শেষ পর্বে দর্শক মাতান বাউল গুরু পাগলা বাবলু এবং বাউল শিল্পী জলি মণ্ডল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
এআর/টিসি