পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে কোতোয়ালী, খুলশী, পাহাড়তলী, চান্দগাঁও ও ইপিজেড থানায় পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।
প্রত্যেক থানা প্রাঙ্গণে এক টন করে প্রতিদিন পাঁচ টন পেঁয়াজ বিক্রি হবে।
অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়া পেঁয়াজের দামের লাগাম টানতে পুলিশের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে থানা প্রাঙ্গণে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়া পেঁয়াজের দামের লাগাম টানতে পুলিশের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। পুলিশ পরিবারের সংগঠন পু্লিশ নারী কল্যাণ সমিতি এসব পেঁয়াজ সংগ্রহ করে সাধারণ মানুষের কাছে নামমাত্র মূল্যে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে কোতোয়ালী, খুলশী, পাহাড়তলী, চান্দগাঁও ও ইপিজেড থানায় পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। প্রত্যেক থানা প্রাঙ্গণে এক টন করে প্রতিদিন পাঁচ টন পেঁয়াজ বিক্রি হবে। পুলিশের এ কার্যক্রম এক সপ্তাহ ধরে চলবে।
পুলিশের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মো. মাহাবুবুল আলম।
মাহাবুবুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। এপ্রিশিয়েট করি।
তিনি বলেন, যারা পেঁয়াজের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তারা কখনও ব্যবসায়ী হতে পারে না। আমি তাদের ব্যবসায়ী বলি না। পুলিশের পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ তাদের গালে চপেটাঘাত বলে মনে করি।
নগরের বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম খোকন বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশের পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ খুবই ভালো। এতে করে অন্তত সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার সকাল ১০টা থেকে থানা প্রাঙ্গণে পেঁয়াজ বিক্রি হবে। প্রতিদিন এক টন করে পেঁয়াজ বিক্রি হবে। সাতদিন চলবে পেঁয়াজ বিক্রি। একজন ক্রেতাকে সর্বোচ্চ এক কেজি করে পেঁয়াজ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
এসকে/এসি/টিসি
