শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ জালাল, শাহ আমানত, সোহরাওয়ার্দী এবং আব্দুর রব হলে একযোগে পুলিশের তল্লাশি শুরু হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা বাংলানিউজকে জানান, সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় চবির চার আবাসিক হলে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।
গত কয়েক দিনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলে তল্লাশির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ ও ২৯ নভেম্বর দুইদিনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রব হলের টিভিকক্ষে মিটিংয়ে বসাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন হলের সামনে অবস্থান নেয়। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুটি পক্ষ। এদিন থেমে থেমে একাধিক হলের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া পক্ষ দুটি হলো- শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী সিএফসি এবং সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুলের অনুসারী ভিএক্স গ্রুপ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এমআর/টিসি