কাস্টম হাউস, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ছাড়পত্র পেলে বুধবারই (২৭ নভেম্বর) দেশের পাইকারি বাজারে ঢুকবে এসব পেঁয়াজ।
চট্টগ্রাম বন্দর ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএসএম গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, দেশে পেঁয়াজ সংকট শুরুর পর সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পেঁয়াজ আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলে।
কনটেইনারগুলো বর্তমানে বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থে (জিসিবি) রয়েছে।
বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সাধারণত ভোগ্যপণ্য আমদানি করলেও পেঁয়াজ আমদানি করতাম না। দেশে মাত্রাতিরিক্ত পেঁয়াজ সংকটের কারণে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখানে লাভটা মুখ্য বিষয় নয়। আমাদের মূল লক্ষ্য সরবরাহ ঘাটতি পূরণে সহায়তা করা।
তিনি জানান, চীন থেকে প্রথম দফায় ৮০০ টন পেঁয়াজের ঋণপত্র খুলেছি। এর মধ্যে ২০ কনটেইনারে ৫৮০ টন পেঁয়াজ এসেছে। বাকি পেঁয়াজগুলো ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পৌঁছাবে আশা করি। এর বাইরে মিশর থেকেও পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া চলছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজের কনটেইনার খালাসে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। যত দ্রুত সম্ভব আমদানি করা পেঁয়াজ খালাস করে দিতে চাই আমরা।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এস আলম গ্রুপ, সিটি গ্রুপসহ বিভিন্ন বড় আমদানিকারকের চীন, মিশর, তুরস্কসহ ১২টি দেশ থেকে আসবে পৌনে ১ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এআর/টিসি