শাহ আমানত বিমানবন্দর, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র, সবজি রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান সূত্র এসব তথ্য জানা গেছে।
উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক শৈবাল কান্তি নন্দী বাংলানিউজকে জানান, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে শাহ আমানত দিয়ে ২৫২ টন সবজি রপ্তানির বিপরীতে ৮৩ হাজার টাকা, আগস্টে ৩৩৪ টন সবজির বিপরীতে ১ লাখ ৮ হাজার ৩১০ টাকা, সেপ্টেম্বরে ৩১৬ টন সবজির বিপরীতে ১ লাখ ৮ হাজার ১৯ টাকা ও অক্টোবরে ৪০৭ টন সবজির বিপরীতে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা ফি আদায় হয়েছে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে মধ্যপ্রাচ্যে সবজি রপ্তানি হয়েছিল ২ হাজার ৪৫ টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৬ টন, রাজস্ব আয় হয় ৯ লাখ ১ হাজার ৭৩৪ টাকা।
একজন সবজি রপ্তানিকারক জানান, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের কচু, কচুর লতি, কচুর ফুল, শিমের বিচি থেকে শুরু করে ৫৯ পদের সবজি রপ্তানি হয় মধ্যপ্রাচ্যে। সমস্যা হচ্ছে আমাদের গ্রীষ্মকালীন সবজির চাহিদা বেশি সেখানে। শীতকালীন সবজিতে যখন দেশে কৃষকের মাঠ, বাজার ভরপুর তখন কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের সবজির চাহিদা কমে যায়। হয়তো তখন ভারতসহ অন্য কোনো দেশ থেকে কমমূল্যে সবজি আমদানি করে।
প্রভা জেনারেল ট্রেডিংয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে শাহ আমানত থেকে ফ্লাই দুবাই, এয়ার এরাবিয়া ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্যাসেঞ্জার ফ্লাইটে সবজি পাঠানো হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে। সমস্যা হচ্ছে অনেক সময় জায়গা না থাকলে সবজি ফেরত দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হন রপ্তানিকারকরা। যদি গ্রীষ্মকালে কার্গো ফ্লাইটে সবজি রপ্তানির সুযোগ থাকতো তবে মধ্যপ্রাচ্যের সবজির চাহিদার সিংহভাগ আমরা মেটাতে পারতাম। এতে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হতো বেশি, অপরদিকে চাষিরাও ন্যায্যমূল্য পেতেন।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারোয়ার-ই-জামান বাংলানিউজকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসার সময় প্রবাসী যাত্রীদের লাগেজ বেশি থাকে। কিন্তু যাওয়ার সময় তুলনামূলক অনেক কম থাকে। এ সুযোগে মধ্যপ্রাচ্যে সবজি রপ্তানি হচ্ছে। চাহিদার ওপর নির্ভর করে মধ্যপ্রাচ্যে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এআর/টিসি