ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্ডের অপব্যবহার রোধে সহযোগিতা চাইলেন কাস্টম কমিশনার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
বন্ডের অপব্যবহার রোধে সহযোগিতা চাইলেন কাস্টম কমিশনার বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফখরুল আলম

চট্টগ্রাম: বন্ড সুবিধার মাধ্যমে শুল্ক ছাড়া আমদানি করা কাপড়ের অপব্যবহার রোধে তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র সহযোগিতা চেয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফখরুল আলম।

তৈরি পোশাক শিল্পের আমদানি পণ্যের চালান খালাসে বিদ্যমান জটিলতা নিরসন কল্পে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সম্মেলন কক্ষে বিজিএমইএ’র টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সভায় তিনি এ সহযোগিতা চান।

কমিশনার বলেন, জাতীয় রপ্তানি ও কর্মসংস্থানে পোশাক শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য।

তিনি পোশাক শিল্পের আমদানি করা পণ্য চালান খালাসে যথাযথ দলিলাদি উপস্থাপনসহ প্রযোজ্য এইচএস কোড (পণ্যের পরিচিতি নম্বর) উল্লেখ করতে হবে।

তিনি এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতায় বিজিএমইএ’র সুপারিশসহ অঙ্গীকারনামা প্রদান সাপেক্ষে পণ্য চালান খালাস প্রদান, পাকিস্তান থেকে আমদানি করা কাপড় ছাড়করণে খালাসকালে পরীক্ষণ ও কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার আটক চালান ৩ দিনের মধ্যে ছাড়সহ পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি আবদুস সালাম বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বর্তমানে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অব্যাহত পণ্যের দরপতন, বিদেশি ক্রেতার পরিদর্শন সংস্থা অ্যাকর্ড অ্যালায়েন্সের সংস্কার কর্মসূচি প্রতিপালন, সর্বশেষ শ্রমিকদের মজুরি ৫১ শতাংশ বৃদ্ধিসহ নানা অবকাঠামোগত সমস্যায় ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এমনিতেই লিডটাইম বা উৎপাদন সময়ের ক্ষেত্রে আমরা প্রতিযোগী অন্যান্য দেশ থেকে পিছিয়ে আছি, ফলে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রপ্তানিতে ব্যর্থ হয়ে স্টকলটসহ অর্ডার বাতিল হয়ে রুগণ শিল্পে পরিণত হয়ে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ক্রমেই বাংলাদেশের পোশাক শিল্প সক্ষমতা হারাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৪০ শতাংশ রপ্তানিকারক উৎপাদন ব্যয়ের নিচে রপ্তানি আদেশ নিচ্ছে; প্রায় ৮৭ শতাংশ বিদেশি ক্রেতা পণ্যের মূল্য বাড়ায়নি। উৎপাদন ব্যয়ের কমে প্রায় ৫০ শতাংশ কারখানা পণ্য বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছে। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

সংকটময় পরিস্থিতি উত্তরণে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সহজীকরণের মাধ্যমে আমদানি করা পণ্য চালান দ্রত খালাসের অনুমোদন দিয়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার জন্য তিনি বিশেষ অনুরোধ জানান।

সভায় বক্তব্য দেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি এএম চৌধুরী সেলিম, পরিচালক এএম মাহবুব চৌধুরী, অঞ্জন শেখর দাশ, খন্দকার বেলায়েত হোসেন ও সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসিরউদ্দিন চৌধুরী।

উপস্থিত ছিলেন কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, যুগ্ম কমিশনার সাধন কুমার কুণ্ডু, বিজিএমইএর পরিচালক মোহাম্মদ মুসা, এনামুল আজিজ চৌধুরী ও সাবেক পরিচালক লিয়াকত আলী চৌধুরী, কাস্টম বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, আবদুল আলীম আরিফ, শাহ নেওয়াজ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।