ঢাকা, শুক্রবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩২, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৮ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আগুন থেকে বাঁচতে মেয়র নাছিরের প্রচারপত্র

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:০৯, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
আগুন থেকে বাঁচতে মেয়র নাছিরের প্রচারপত্র অগ্নিসচেতনতা সৃষ্টিতে মেয়র নাছিরের প্রচারপত্র বিলি কার্যক্রম উদ্বোধন

চট্টগ্রাম: সর্বনাশা আগুন থেকে নগরবাসীকে সচেতন করতে প্রচারপত্র ছাপিয়ে বিলি করছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস চত্বর থেকে এসব প্রচারপত্র বিলি ও অগ্নিসচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রতিধ্বনি ক্লাবের উদ্যোগে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এ উপলক্ষে বের করা হয় শোভাযাত্রা। এ সময় মেয়র বলেন, আগুন লাগার মূল কারণ অসাবধানতা।

অসাবধানতার সঙ্গে যোগ হয় অজ্ঞতা। আগুন লাগার বড় ধরনের উৎসগুলো হচ্ছে-জ্বলন্ত চুলা, জ্বলন্ত সিগারেট, জ্বলন্ত ম্যাচের কাঠি, খোলা বাতি, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, গরম ময়লা, আবর্জনা ও অন্যান্য দাহ্য বস্তু, ছেলেমেয়েদের আগুন নিয়ে খেলা বা রাসায়নিক বিক্রিয়া ইত্যাদি।
এ ছাড়া মেশিনারিজ, সেপটিক ট্যাংকের গ্যাস, মেশিনের ঘর্ষণ, বজ্রপাত, গ্যাসের দুর্বল সিলিন্ডার ও চার্জরত মোবাইল ফোন থেকে বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরণ ও আগুন লেগে যেতে পারে। তাই আমাদের এসব বিষয়ে সচেতন ও দায়িত্ববান হতে হবে।

তিনি অগ্নিকাণ্ডের সতর্কতা হিসেবে বসতবাড়ি, অফিস, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, কারখানায় অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা, রান্নার পর চুলা নিভিয়ে ফেলা, খোলা বাতির ব্যবহার পরিহার, বাসার বৈদ্যুতিক সংযোগগুলো মাসে অন্তত একবার করে পরীক্ষা করা, প্রয়োজনে পুরনো সংযোগ পরিবর্তন, রাসায়নিক ও জ্বালানি পদার্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ধূমপান নিষিদ্ধ করা, শিল্প-কারখানায় প্রচুর পানি, বালু ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিক সংযোগের মেইন সুইচ বন্ধ করা, সব জায়গা আবর্জনামুক্ত, চুলার ওপর ভেজা লাকড়ি বা কাপড় না রাখা এবং ইস্ত্রিরিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ রেখে কোথাও না যাওয়া, ছোট বাচ্চাদের রান্নাঘরে যাওয়া থেকে বিরত রাখা, রান্নাঘর ও টয়লেটের জানালা সর্বদা খোলা রাখা, রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক তার স্পর্শ না করা আহ্বান জানান।

তিনি অগ্নি প্রতিরোধে সচেতন হওয়া, সম্ভাব্য অগ্নিকাণ্ড মোকাবেলায় হাতের কাছে দুই বালতি পানি বা বালু মজুদ রাখা, বাসগৃহ, কলকারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং মাঝেমধ্যে সেগুলোর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা, গুদাম বা কারখানায় ধূমপানমুক্ত ঘোষণা এবং আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের সেবা পেতে ৯৯৯ নম্বরে কল করার পরামর্শ দেন।

শোভাযাত্রাটি নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিমূলক মেয়রের প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়। এ সময় কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, রাজনীতিক পুলক খাস্তগীর, ছাত্রনেতা অনিন্দ দেব, সংগঠনের সভাপতি সমন্যু চত্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক রিমন দত্ত, সৌরভ দাশ, জয় দাশগুপ্ত, তন্ময় দাশগুপ্ত, ইজাজুল হক এজাজ, ফাহিম রাফসান, ভাস্কর নন্দী, সানি তালুকদার, আদ্রি রাহা, নয়ন ধর, ইমন দত্ত, মান্না সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি পাথরঘাটার ব্রিক ফিল্ড রোডের বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় রহস্যজনক বিস্ফোরণে নারী, শিশু, পথচারীসহ ৭ জন নিহত হন। আহত হন ৯ জন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।