![]() ভেলুয়ার দীঘির সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনছে রেলওয়ে |
চট্টগ্রাম: নগরের পাহাড়তলীর ভেলুয়ার দীঘি দখলমুক্ত করতে রেলওয়ের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। দীঘির প্রায় ১৪ একর জায়গা স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীরা দখলে রাখায় সেখানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করে জায়গা দখলমুক্ত করা হচ্ছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালায় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ। এসময় রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও পাহাড়তলী থানার বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
অভিযান চালিয়ে ভেলুয়ার দিঘীর আশেপাশে ৬০০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ৪ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়।
রেলওয়ের সূত্র জানায়, ১৯৮২ সালে দীঘিটির দক্ষিণ পাশে পাহাড়তলী বাজারের জন্য কয়েকটি দোকান ইজারা দেয় রেলওয়ে। ১৯৮৪ সালের দিকে মাছ চাষের জন্য দীঘিটিকে ইজারা দেওয়া হয় রেলওয়ে স্কাউটকে। এর পর থেকে বিভিন্ন প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় দীঘির চারপাশ দখল হতে শুরু করে।
জানা গেছে, দোকান ও ঘরবাড়ি মিলিয়ে অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা প্রায় কয়েক হাজার। দীঘির উত্তর পাশে অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে আধা পাকা দোকান ও ঘরবাড়ি। পূর্ব পাশে রয়েছে কাঁচা ও আধা পাকা ঘর। দক্ষিণ পাশেও ইজারা নেওয়া দোকানগুলোর পেছনে দীঘির পাড় দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে সারি সারি গুদামঘর।
সম্প্রতি সেখানে অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখল ও ইজারায় অনিয়ম পায় দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক)।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, ভেলুয়ার দীঘি সম্পূর্ণ দখলমুক্ত করতে তিন-চারদিন লাগবে। একদিনে ৬০০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়েছে। আরও বহু অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। তবে দীঘিটি দখলমুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
জেইউ/টিসি