সোমবার (১৮ নভেম্বর) নগরের সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, কেউ যেন অবৈধ সিন্ডিকেট ও মজুদদারি না করতে পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
সভায় চট্টগ্রামের সরকারি বিভিন্ন দফতরের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। এতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, গণপূর্ত বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জোন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর তাদের চলমান উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।
সিডিএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখতে নগরের ৩৬টি খালের সংস্কার, নতুন ড্রেন নির্মাণ ও আধুনিকায়ন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। এ সব ড্রেন ও খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি জোয়ারের সময় নগরে পানি যেন না ঢুকে সেজন্য খালের মুখে স্লুইসগেট নির্মাণ করা হবে।
ওয়াসার পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলমান ৪টি প্রকল্পের মাধ্যমে নগরবাসীর দৈনন্দিন পানির চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। বর্তমানে নগরবাসীর দৈনিক ৪২ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ৩৬ কোটি লিটার সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে চলমান দু’টি প্রকল্প সমাপ্ত হলে চাহিদার পুরোপুরি জোগান সম্ভব হবে। এ ছাড়া ভূগর্ভস্থ পানি ধরে রাখতে ৫০টি গভীর নলকূপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে চলমান ৪৬টি গভীর নলকূপও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিভাগীয় কমিশনার সব উন্নয়ন প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, নগরবাসীর যেন দুর্ভোগ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রকল্পের মান বজায় রেখে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহাসহ বিভাগের সব জেলা প্রশাসক সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এআর/টিসি