নগরের পাথরঘাটার ব্রিক ফিল্ড রোডের ‘বড়ুয়া ভবনে’ রহস্যজনক বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত সামনের বাদশা মিঞা ভবনের টং দোকানি মঞ্জুর হোসেন (৪৫) এভাবেই বাংলানিউজকে ঘটনার বর্ণনা দেন।
তিন ছেলের বাবা মঞ্জুর গলিরই স্থায়ী বাসিন্দা।
বাদশা মিঞা ভবনের নিচতলার জনতা ফার্মেসির সামনেই রক্তের ছাপ। শোকেসের কাচ ভেঙে তছনছ। বড়ুয়া ভবনের ভাঙা দেয়ালের টুকরা ফার্মেসির ভেতরই। মালিক টিটু কুমার নাথ বাংলানিউজকে বলেন, ফার্মেসির স্টাফ অনুপম ঘোষ সকালে ঝাড়ু দিচ্ছিলো। তখনই দুর্ঘটনা। ভাগ্য ভালো অনুপম দোকানের ডানপাশের গ্রিলের পেছনে ছিল। বামপাশে থাকলে বাঁচতো না।
তিনি জানান, একজন নারীসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধারে সহযোগিতা করেছেন তিনি।
অনুপম বাংলানিউজকে বলেন, ঈশ্বরের কৃপায় এ যাত্রা বেঁচে গেলাম। এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হবো কখনো ভাবনাতেই আসেনি। একটি শব্দ, তারপর ধুলোবালির ঝড়। চোখে কিছুই দেখতে পেলাম না।
বড়ুয়া ভবনের তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া রিপন নাগ (৪৮)। বললেন, প্রচণ্ড শব্দে ভবনটি কেঁপে উঠলো। আমরা কী করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। সবাই শকের মধ্যে ছিলাম। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে বের করে আনলেন।
তিনি বলেন, ৮ সদস্যের পরিবার নিয়ে ভাড়ায় থাকি ১৫ হাজার টাকায়। সমস্যা হচ্ছে-আমার ভাতিজা পিএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। আমরা ঘরে ঢুকতে পারছি না। আজ সকালে বিস্ফোরণের আগে সে পরীক্ষা দিতে বের হয়েছিল। ফিরে এসে কোথায় পড়বে কী জানি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
এআর/টিসি