রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টায় ঘটে যাওয়া ওই দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে ফারজানা (৩০) ও তার ছেলে আতিকুর রহমানও (৮) রয়েছে।
স্বামী আতাউর রহমান ও দুই সন্তানকে নিয়ে পাথরঘাটা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন ফারজানা। নিহত ছেলে আতিকুর রহমান সেন্ট প্লাসিডস স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।
আতিফুর রহমানের গৃহশিক্ষিকা অ্যালিনা বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ফারজানা ম্যাডাম প্রতিদিন দুই ছেলেকে স্কুলে আনা-নেওয়া করেন। বাসার পাশেই বড় ছেলে আতিকুরকে একজন প্রাইভেট শিক্ষকের বাসায় পড়াতে নিয়ে যেতেন। প্রতিদিনের মতো আজ (রোববার) সকালে আতিফুরকে স্কুলে দিয়ে এসে বড় ছেলে আতিকুর রহমানকে প্রাইভেট শিক্ষকের বাসায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় মারা যান মা-ছেলে।
পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. নোমান বাংলানিউজকে বলেন, ছেলের হাত ধরে মা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেয়াল ধসে পড়লে অনেকের সঙ্গে তারা দুজনও নিহত হয়। চোখের পলকেই ঘটে গেলো এ দুর্ঘটনা।
নিহতের স্বামী আতাউর রহমানের বন্ধু লোকমান হোসেন জানান, বাসা থেকে ওই প্রাইভেট শিক্ষকের বাসা কাছাকাছি। তাই হেঁটে ছেলেকে নিয়ে শিক্ষকের বাসায় যান ফারজানা। কিন্তু এটাই যে তাদের শেষ যাত্রা হবে- সেটা কে জানতো?
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি