ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে বাংলাদেশে: চেন হাউ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে বাংলাদেশে: চেন হাউ মি. চেন হাউকে চসিকের স্মারক উপহার দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: চায়না কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মি. চেন হাউ বাংলাদেশের স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ খুব চমৎকার উল্লেখ বলেছেন, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই অনুকূল পরিবেশ এখন বিরাজ করছে। যার ফলে বাংলাদেশ উন্নয়নে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম ক্লাবে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদলের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি. জিমিং, ইউনাল প্রভিনস কমিউনিস্ট পার্টির ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি মি. ইয়াং হংবো, ডিরেক্টর জেনারেল ইউনাল প্রভিনস সরকারের ফরিন অ্যাফেয়ার্স অফিসার পো হং, ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ইউ সুকন, চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ইউনান ব্রাঞ্চের প্রেসিডেন্ট ডাক্তার হং জিনগুয়া এবং চায়না কমিউনিকেশন কন্সক্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো. জিংবো উপস্থিত ছিলেন।

চসিকের পক্ষে ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম।

মেয়র বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক নতুন নয়, বহু পুরনো।

দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু হওয়ার পর থেকে বরাবরই তা চমৎকার ছিল, ক্রমে তা আরও নিবিড় হয়েছে এবং এই সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থার ভিন্নতা সত্ত্বেও এই দুই দেশের মধ্যকার চমৎকার কূটনৈতিক সম্পর্ক একটি রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক অবকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কৃষি শিল্প ক্ষেত্রেও চীন সহযোগিতা করে এসেছে।

তিনি বলেন, ঢাকা-বেইজিং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা উত্তরোত্তর বাড়ছে। নির্দ্বিধায় বলা যায় চীন বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম সহযোগী রাষ্ট্র। বর্তমানে বাংলাদেশের পদ্মা সেতুসহ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণের কাজ করছে চীন।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ বিনির্মাণে চীনের আরও সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র।

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কীভাবে আরও জোরদার করা যায় এমন প্রশ্নের জবাবে সিটি মেয়র বলেন, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দু’দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে চায়না কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি বলেন, আগামী এক-দেড় দশকে চীন বাংলাদেশের জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে হাজার হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ করবে। চীন মনে করে সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন চীন বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগকারী দেশে পরিণত হবে।

বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্ক অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মেয়র অতিথিকে সিটি করপোরেশনের মনোগ্রাম খচিত স্মারক উপহার দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।