শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম ক্লাবে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদলের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি. জিমিং, ইউনাল প্রভিনস কমিউনিস্ট পার্টির ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি মি. ইয়াং হংবো, ডিরেক্টর জেনারেল ইউনাল প্রভিনস সরকারের ফরিন অ্যাফেয়ার্স অফিসার পো হং, ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ইউ সুকন, চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ইউনান ব্রাঞ্চের প্রেসিডেন্ট ডাক্তার হং জিনগুয়া এবং চায়না কমিউনিকেশন কন্সক্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো. জিংবো উপস্থিত ছিলেন।
চসিকের পক্ষে ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম।
মেয়র বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক নতুন নয়, বহু পুরনো।
তিনি বলেন, ঢাকা-বেইজিং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা উত্তরোত্তর বাড়ছে। নির্দ্বিধায় বলা যায় চীন বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম সহযোগী রাষ্ট্র। বর্তমানে বাংলাদেশের পদ্মা সেতুসহ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণের কাজ করছে চীন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ বিনির্মাণে চীনের আরও সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কীভাবে আরও জোরদার করা যায় এমন প্রশ্নের জবাবে সিটি মেয়র বলেন, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দু’দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে চায়না কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি বলেন, আগামী এক-দেড় দশকে চীন বাংলাদেশের জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে হাজার হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ করবে। চীন মনে করে সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন চীন বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগকারী দেশে পরিণত হবে।
বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্ক অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মেয়র অতিথিকে সিটি করপোরেশনের মনোগ্রাম খচিত স্মারক উপহার দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
এআর/টিসি