তিনি বলেছেন, ট্রেনের সম্পূর্ণ ব্রেকিং দূরত্ব ৪৪০ গজ। চালকের (লোকোমাস্টার) ব্রেক ধরার জন্য যথেষ্ট জায়গা ছিল।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) পাহাড়তলী রেলওয়ের অফিসে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কসবায় উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম নিয়ে বিফ্রিং করেন মো. নাসির উদ্দিন।
নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা মোটামুটি যে স্টাডিগুলো করেছি-ট্রেনের স্পিড ছিল কত? সিগন্যালের সিটিউশন কিরকম ছিল? দুই পাশের স্টেশন মাস্টারের কিছু গোপন নাম্বার থাকে যেগুলোর মাধ্যমে লাইন ক্লিয়ার দেয়, ওই নাম্বারগুলো আমরা যাচাই করেছি।
তিনি বলেন, তদন্তের কাজ ৯৯ ভাগ শেষ। শুধু এক ভাগ কাজ বাকি থাকায় তদন্ত প্রতিবেদন আজকে দেয়া যাচ্ছে না। আমরা শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) আবারও দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব। ওইদিনই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবো।
অটো ব্রেকিং বা প্যাডেল চালক অকার্যকর করে রেখেছিলেন কিনা-সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছি। এই বিষয়টি কালকে আরও একটু দেখতে হবে। তারপর সম্পূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
দুর্ঘটনায় রেলওয়ের ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, লোকোমোটিভ ক্ষতি হয়েছে ১৭ লাখ টাকা, কোচের ক্ষতি ২০ লাখ, ট্রেকের ক্ষতি হয়েছে ২০ হাজার টাকা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেল স্টেশনে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোর রাতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৬জন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
জেইউ/টিসি