ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবি’র ডি ইউনিটে নম্বর কম পাওয়ার অভিযোগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
চবি’র ডি ইউনিটে নম্বর কম পাওয়ার অভিযোগ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় নানান অসঙ্গতির মধ্যে এবার যুক্ত হয়েছে নাম্বার কম পাওয়া ও ফলাফল না পাওয়ার অভিযোগ। এ বছর চবির ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হলো; ভর্তি নির্দেশিকায় কর্তৃপক্ষের অস্পষ্টতা। যার ফলে মানোন্নয়ন দিয়ে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়ে সংকট চলছে।

প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীর ভর্তি নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতিমালার বাইরে কেউই ভর্তি হতে পারবেন না।

চবির 'ডি' ইউনিটে পরীক্ষায় ন্যাশনাল কারিকুলামের পরীক্ষার্থীদের জন্য বাংলা প্রশ্ন না করায় ৪১৬ জন শিক্ষার্থী গত ৬ নভেম্বর পুনরায় পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এমনকি ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ঘটে যাওয়া এ অসঙ্গতি নিয়ে প্রশাসনের কোনো তদন্ত কমিটি গঠন না করার বিষয়টিও অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর হতবাক করেছে।

সর্বশেষ ডি ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের পর যে তিনটি অভিযোগ উঠেছিলো এরমধ্যে প্রথমেই রয়েছে; ডি ইউনিটের প্রকাশিত ফলাফলে মানোন্নয়ন দেওয়া শিক্ষার্থীদের সরাসরি অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। দ্বিতীয়ত মানোন্নয়ন না দিয়েও অনেক অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী উক্ত ইউনিটের কোনো ফলাফল পাননি। যা অন্য যেকোনো ইউনিটের তুলনায় অনেকগুণ বেশি। এ ছাড়া প্রায় কয়েকশ’ শিক্ষার্থীর অভিযোগ; উত্তরপত্রে নম্বর কম পেয়েছেন তারা। এদের মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজি অংশে সঠিক হওয়া সত্ত্বেও নম্বর কম পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। যাদের অনেকেই বিষয়টি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করতেও প্রস্তুত।

নম্বর কম পাওয়ার অভিযোগ করে ডি ইউনিটের পরীক্ষার্থী জিহাদ হাসান বলেন, আমি বেশ কয়েকবার সবকিছু মিলিয়ে দেখলাম ৭৮ নম্বর পাই। কিন্তু আমাকে দেওয়া হয়েছে ৬৩। ১৫ মার্ক ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেক বড় ব্যাপার। এখন আমার পজিশন ১০ হাজারেরও বাইরে। তা ছাড়া চ্যালেঞ্জ করারও কোনো সুযোগ নেই।  

আল আমিন আহমেদ বলেন, পরীক্ষার আগে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় ছিলো। আমি কাগজপত্রে কোনো ভুল করিনি। পরীক্ষার আগে পরে বারবার চেক করেছি। সবকিছু ঠিক ছিলো কিন্তু ফলাফলটা পেলাম না।

এ বিষয়ে ডি ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর ও শিক্ষা অনুষদের ডিন আব্দুল্লাহ আল ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, উত্তরপত্র অটোমেশন পদ্ধতিতে দেখা হয়। এখানে কোনো শিক্ষক হাত দেননি। আর ফলাফল প্রকাশের পর কার্যক্রম অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এখন ৫৩ হাজার পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র পুনরায় মূল্যায়ন করা সম্ভব না।

ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সচিব এসএম আকবর হোসাইন বলেন, যারা উত্তরপত্রে ভুল করেছে তারা নম্বর কম পেয়েছেন। আর কারো ওএমআর পেপারে যদি কোনো প্রকার ভুল হয়, তাহলে অটোমেশন পদ্ধতিতে তাদের ফলাফল বাদ পড়ে যায়। এমনকি ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
জেইউ/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad