ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামেও শুদ্ধি অভিযান প্রয়োজন: সুজন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
চট্টগ্রামেও শুদ্ধি অভিযান প্রয়োজন: সুজন শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে শোভাযাত্রা।

চট্টগ্রাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান শুদ্ধি অভিযানকে আরও বেগবান করার মাধ্যমে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল দেশের জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে জাগ্রত ছাত্র যুব জনতার উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর চলমান শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশ ও শোভাযাত্রার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সুজন বলেন, শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির এক অমূল্য আমানত।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনকের নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হওয়া এক টুকরো বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনার হাত ধরে সারাবিশ্বে এক বিস্ময়। বাংলাদেশ আজ ক্ষুধা দারিদ্রের দেশ নয়।
এক সময় যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা দারিদ্র খরার দেশ বলে উপহাস করা হতো শুধুমাত্র একজন শেখ হাসিনা’র যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

তিনি বলেন, শত্রুদের শত ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে আমাদের উন্নয়নের যাদুর কাঠি শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আরাধনা আজ প্রতিটি বাঙালির। সে লক্ষ্যে দল, রাষ্ট্র, সমাজ সব জায়গায় শুদ্ধি অভিযান দরকার। আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল যারা এতোদিন বিভিন্ন অপকর্ম করেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দেওয়াই শুদ্ধি অভিযানের মূল লক্ষ্য।

‘যারা একসময় মধ্যবিত্ত পরিবারের ছিল তারা কোন আশ্চর্য প্রদীপের ছোঁয়ায় আজ দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে, তাদের আয়ের উৎস কি- জনগণ জানতে চায়। আজ সময় এসেছে তাদের অবৈধ সম্পদ বিদেশ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার। এ সম্পদ দেশে ফিরিয়ে এনে জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে হবে। ’

চট্টগ্রামেও শুদ্ধি অভিযান প্রয়োজন উল্লেখ করে সুজন বলেন, এ শুদ্ধি অভিযানকে আরও বিকশিত করে দুর্নীতি, মাদক, ক্যাসিনো ও জুয়া ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করতে হবে। যারা দলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে দলের নাম ভাঙিয়ে নানা ধরনের অপকর্ম করছে তাদেরও চিহ্নিত করার সময় চলে এসেছে।

এর আগে সকালে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে জাতির জনক এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি নিয়ে মিছিল সহকারে সমবেত হয়ে পুরাতন রেল স্টেশন চত্বর লোকারণ্য হয়ে যায়।

জাগ্রত ছাত্র যুব জনতার আহ্বায়ক এ এস এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রকিবুল আলম সাজ্জির সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান, মাহবুবুল হক সুমন, হাসানুর রহমান লিটন, শওকত হোসাইন, ফরহান আহমেদ, মো. সালাউদ্দিন, আব্দুল আজিম, শফিউল আজম বাহার, খলিলুর রহমান নাহিদ, আব্দুস সালাম মাসুম, মোরশেদ আলম, এনামুল হক মিলন, সাজ্জাদ হোসাইন, মোর্শেদ আলী, আবুল হাসনাত বেলাল, আনিসুর রহমান ইমন, কামরুল হক, জানে আলম, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, আবুল হাসান সৈকত, আসাদুজ্জামান মনি, সমীর মহাজন লিটন প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রা পুরাতন রেল স্টেশন চত্বর থেকে শুরু হয়ে নিউমার্কেট- কোতোয়ালী হয়ে লালদিঘীর মাঠে গিয়ে শেষ হয়। শেষে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী ও অনুপ্রবেশকারীদের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।