তা ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা দিয়ে ইউরোপের ২৬টি দেশে গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে জার্মানিতে অধ্যয়ন, গবেষণা করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে জার্মান দূতাবাস সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দেশটির রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অংশীদারিত্বের চেতনা নিয়ে জার্মানি সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
মেয়র জার্মান রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জার্মানির সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিই বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল। আর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনা জার্মানিতে ছিলেন বলে ঘাতক চক্রের হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন। এই দুঃসময়ে তাদের আশ্রয় দিয়ে জার্মান সরকার অকৃত্রিম বন্ধুত্বের পরিচয় দেন। এর জন্য জার্মান সরকার এবং জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
মেয়র বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু জার্মানি। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সবক্ষেত্রে ইউরোপের এ দেশ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার বিশ্বস্ত সঙ্গী। তিনি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে জার্মানির বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
মেয়র চসিকের কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। মেয়র জানান, ডিসেম্বর নাগাদ নগরের তিনটি সড়কে এসি বাস চালু করা হবে। পরীক্ষামূলক ভাবে ১০০ এসি গাড়ি কালূরঘাট থেকে বিমানবন্দর, হাটহাজারী থেকে লালদীঘি এবং ভাটিয়ারি থেকে নিউমার্কেট এ তিন রুটে চলাচল করবে। এতে করে ছোট ছোট যানবাহনের ওপর যাত্রীর চাপ কমে আসবে।
মেয়র বলেন, জার্মান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। এদেশের সার্বিক উন্নয়নে আগামীতেও জার্মান এগিয়ে আসবে। এমনকি বিশেষয়িত শিল্পাঞ্চলে জার্মান বিনিয়োগকারীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। জার্মানির বেসরকারি উদ্যোক্তারা শিল্প স্থাপনে এগিয়ে আসলে চসিকের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হবে।
এ সময় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এআর/টিসি