সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার বোরহান উদ্দিন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল করিম, চট্টগ্রাম বিভাগের আরএনবি কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ আশাবুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক মো. শওকত হোসেন সজলসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে জিএমের বাংলোর পাশ থেকে অবৈধ ২৫২টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে এক একর জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।
পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার বোরহান উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, রেলের জমিতে অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। যত বড় প্রভাবশালী হোক অবৈধ দখল যেখানে থাকবে সেখানেই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিভাগে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জমির পরিমাণ সাত হাজার ৭০১ একর। এর মধ্যে ২১৫ একরই বেদখল হয়ে আছে। রেলের বেদখল জমির মধ্যে ৮৭ একর রয়েছে বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের দখলে। অবশিষ্ট জমির দখল নিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে যুক্ত রেলের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীও।
দখলে থাকা জমি উদ্ধারে সরকারের নির্দেশনা আসার পর গত ৩ অক্টোবর থেকে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে সিআরবি, পাহাড়তলী ও হালিশহরে প্রায় ৪ হাজার ১০০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। উদ্ধার হওয়া জমির পরিমাণ ২৩ একর, যার বাজারমূল্য প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি