ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আল্লামা তাহের শাহ’র নেতৃত্বে লাখো ভক্তের জুলুস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
আল্লামা তাহের শাহ’র নেতৃত্বে লাখো ভক্তের জুলুস লাখো ভক্তের জুলুস। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় বের হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস।

রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের সাজ্জাদানশিন আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ’র (মজিআ) নেতৃত্বে জুলুস শুরু হয়।

জুলুসের বিশেষ গাড়িতে হুজুর কেবলার সঙ্গে আছেন শাহজাদা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ ও আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামেদ শাহ (মজিআ), আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উপদেষ্টা, পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক সুফি মিজানুর রহমান, আনজুমানের ভিপি মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মো. আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল সেক্রেটারি মো. সামশুদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারি সিরাজুল হক প্রমুখ।

আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ’র (মজিআ) নেতৃত্বে জুলুস।  ছবি: সোহেল সরওয়ারগাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বাংলানিউজকে বলেন, জামেয়া আহমদিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ থেকে শুরু হওয়া জুলুসটি বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, প্যারেড কর্নার, সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, আন্দরকিল্লা, চেরাগি পাহাড়, প্রেসক্লাব, কাজীর দেউড়ি, আলমাস, ওয়াসা, জিইসি, মুরাদপুর হয়ে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে মিলিত হবে।

এর মধ্যে কাজীর দেউড়ি মোড়ে অস্থায়ী মঞ্চে হুজুর কেবলা বক্তব্য দেবেন ও দেশের শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করবেন। এরপর জুলুস মাদ্রাসা মাঠে ফিরবে। সেখানে আখেরি মোনাজাত হবে।

সুফি মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আল্লাহর হাবিব পৃথিবীতে এসেছিলেন মানবজাতির কল্যাণের জন্য। ১৯৭৪ সালে এ জুলুসের নির্দেশনা দেন বাগে সিরিকোট আল্লামা তৈয়ব শাহ (র.)। যারা নবীকে ভালোবাসেন, আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন। ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের খুশির দিন।

তিনি বলেন, এ মিলাদুন্নবীর উসিলায় আল্লাহ আমাদের আসমানি গজব থেকে রক্ষা করবেন।

লাখো ভক্তের জুলুস।  ছবি: সোহেল সরওয়ারমোহাম্মদ মহসিন বলেন, আজ আমাদের আনন্দের দিন, ঈদের দিন। জুলুস হচ্ছে আনন্দের জন্য। এটি আমাদের জন্য রহমত, বরকত। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মানুষ এসেছেন। ওমান, আবুধাবি, দুবাই, ইউরোপ থেকে ভক্তরা এসেছেন। সরকার, প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই।

সেক্রেটারি জেনারেল মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবীর জুলুস বাতেল ফেরকার জন্য আতঙ্ক। এবার জুলুসে ৬০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে ইনশাআল্লাহ। গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ, বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র, বিভিন্ন মহল্লা কমিটি, সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন।

তিনি জুলুসকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থানসহ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান।

জুলুসের নিরাপত্তায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্যের পাশাপাশি আড়াই হাজার আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্স (এএসএফ) ও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।