শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ৯ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়।
এর পরপরই উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে সরাতে জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, রেডক্রিসেন্ট একযোগে জেলা ও নগরের উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং কার্যক্রম চালায়।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে- শনিবার দুপুরের এমন খবরের পর উপকূলীয় এলাকার লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটতে শুরু করেন।
উপকূলীয় এলাকার এসব লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে চট্টগ্রামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ২ হাজার ২৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১ হাজার ২৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এছাড়াও সম্ভাব্য দুর্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অধিদফতরের বরাদ্দকৃত ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা জিআর ক্যাশ, ৩৪৯ মেট্রিক টন জিআর চাল, ৬৮১ বান্ডেল ঢেউটিন, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৫০০ তাবু প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এমআর/এসি/টিসি