এর ফলে কর্ণফুলী নদীর বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত অভ্যন্তরীণ জাহাজ ও ছোট ছোট নৌযানগুলো শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বহির্নোঙরে (সাগরে) অবস্থানরত বড় জাহাজগুলো ক্রমান্বয়ে কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার উপকূলে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
বন্দরের মূল জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলো শনিবার (৯ নভেম্বর) বহির্নোঙরে সরিয়ে নেওয়া হবে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সভায় প্রথমে অ্যালার্ট-২ জারি করেন বন্দর চেয়ারম্যান। এরপর সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ৬ নম্বর সংকেত জারির পর কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করেছে।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘সাইক্লোন ডিজেস্টার প্রিপার্ডনেস অ্যান্ড পোর্ট সাইক্লোন রিহ্যাবিলেটেশন প্ল্যান ১৯৯২ অনুযায়ী বন্দর চেয়ারম্যান নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করেছে। আবহাওয়া অধিদফতর ৫-৭ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখালে অ্যালার্ট-৩ জারি হয়ে যায়। বন্দর চ্যানেল, বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি জাহাজ, মূল জেটি ও টার্মিনালের কার্গো, কনটেইনার, হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট রক্ষায় বন্দর কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট রয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় বন্দরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বন্দরের তিনটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানলে যাতে ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায় সে লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তিনটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে। নৌ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর ০৩১-৭২৬৯১৬। পরিবহন বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর ০৩১-২৫১০৮৬৬। সচিব বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর ০৩১-২৫১০৮৬৯।
>> ঘূর্ণিঝড় বুলবুল: চট্টগ্রাম বন্দরে ‘অ্যালার্ট-২’ জারি
>> ঘূর্ণিঝড় বুলবুল: বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ
>>মোংলা-পায়রায় ৭, চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এআর/টিসি