শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে লাইটার শিপ মালিকদের সংগঠন ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিওটিসির) একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্ক সংকেতকে গুরুত্ব দিয়ে বন্দর চ্যানেল নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
পৌনে ১টায় বাংলাদেশ লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো. নবী আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমি এখন কর্ণফুলী নদীর পাড়ে। ঘূর্ণিঝড় এখনো দূরে আছে। তবে লাইটার শিপে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নিরাপদ গন্তব্যে জাহাজ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, আবহাওয়া অধিদফতর ৪ নম্বর সংকেত দেখাতে বলায় বিকেলে বন্দর ভবনের সম্মেলক কক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সভা আহ্বান করা হয়েছে। বন্দর চেয়ারম্যান সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
তিনি জানান, বন্দরের মূল জেটিতে কনটেইনার ও কার্গো খালাস স্বাভাবিক রয়েছে। সংকেত বাড়লে ধাপে ধাপে হ্যান্ডলিং কার্যক্রম কমিয়ে আনা হবে।
বিদেশ থেকে আমদানি করা গম, ডাল, ক্লিংকারসহ খোলা পণ্যবাহী বড় জাহাজ বেশি ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) কারণে বন্দরের মূল জেটিতে ভিড়তে না পারায় বহির্নোঙরে ছোট জাহাজে (লাইটার শিপ) খালাস করে বিভিন্ন নদীবন্দর, কারখানার ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এআর/টিসি