মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রিয়াজুদ্দিন বাজারের নুপুর মার্কেট এবং ঘোষাল কোয়ার্টার মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং মো. উমর ফারুক।
কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া দুই পেঁয়াজ আমদানিকারক হলেন জে এস ট্রেডার্সের মালিক মিনহাজ উদ্দিন বাপ্পি (২৮) এবং এ হোসেন ব্রাদার্সের মালিক আবুল হোসেন (৫২)।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত কয়েকদিনে খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের ১৬ জন পেঁয়াজ আমদানিকারক ও আড়তদারের সিন্ডিকেটের তথ্য পাই।
‘এ সিন্ডিকেটের তিন সদস্য রেয়াজুদ্দিন বাজারের নুপুর মার্কেটের সৌরভ এন্টারপ্রাইজ, ঘোষাল কোয়ার্টার মার্কেটের জে এস ট্রেডার্স এবং এ হোসেন ব্রাদার্সের মালিক। ’
তিনি বলেন, মঙ্গলবার এ তিন আমদানিকারকের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সৌরভ এন্টারপ্রাইজ বন্ধ পাওয়া গেলেও জে এস ট্রেডার্স এবং এ হোসেন ব্রাদার্সের কর্মকর্তারা পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি অস্বীকার করেন। তারা দাবি করেন, আগে পেঁয়াজ আমদানি করলেও এখন বার্মিজ বিভিন্ন পণ্যই বিক্রি করেন তারা।
‘তবে দুই মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করেন, মিয়ানমার থেকে ৪২ টাকায় পেঁয়াজ আমদানি করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আড়তদারদের কাছে দ্বিগুন দামে এসব পেঁয়াজ বিক্রি করেন তারা। পেঁয়াজ আমদানি এবং বিক্রির তথ্য সংরক্ষণ না করে তারা ‘পেপার লেস মার্কেট’ সৃষ্টি করেছেন। ’
ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, পেঁয়াজ একটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী পেঁয়াজ আমদানি ও বিক্রির সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করে কালোবাজারির মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে দুই আমদানিকারককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপ-সচিব মো. সেলিম হোসেন এবং ভোক্তা অধিকার অধিদফতর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এমআর/টিসি