সোমবার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে খাতুনগঞ্জ ও রিয়াজউদ্দিন বাজার পরিদর্শনের সময় এমন চিত্র উঠে আসে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পেঁয়াজের বাজারে মূল্য সন্ত্রাস হচ্ছে।
তিনি জানান, ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সুযোগ কাজে লাগিয়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৪২ টাকায় এনে পাইকারিতে ৯০-১০০ টাকার বেশি বিক্রির সিন্ডিকেটের প্রাথমিক তালিকায় আছে কক্সবাজারের টেকনাফের আমদানিকারক সজিব, মম, জহির, সাদ্দাম, বিক্রেতা ফোরকান, গফুর, মিন্টু, খালেক, টিপু, টেকনাফ স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কাদের, কমিশন এজেন্ট (ব্রোকার) শফি, টেকনাফের মেসার্স আলিফ এন্টারপ্রাইজ, খাতুনগঞ্জের মেসার্স আজমির ভাণ্ডার, মেসার্স আল্লার দান স্টোর, স্টেশন রোডের নূপুর মার্কেটের মেসার্স সৌরভ এন্টারপ্রাইজ ও ঘোষাল কোয়াটারের এ হোসেন ব্রাদার্স।
মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার (০৪ নভেম্বর) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও মাত্রাতিরিক্ত দামে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি করার দায়ে খাতুনগঞ্জের গ্রামীণ বাণিজ্যালয়কে ৫০ হাজার টাকা এবং রিয়াজউদ্দিন বাজারের রুহুল আমিন সওদাগরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযান শেষে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের আমদানি মূল্য কেজি প্রতি ৪২ টাকা হওয়ায় পরিবহন খরচ, শ্রমিক খরচ, মুনাফা ও বিবিধ খরচ সব বিবেচনায় নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি মো. সেলিম হোসেন খাতুনগঞ্জ ও রিয়াজউদ্দিন বাজারে পাইকারি পর্যায়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে ৫৫-৬০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৬৫-৭০ টাকা বিক্রির নির্দেশনা দেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজের পাশাপাশি মিশর ও চীন থেকে আমদানি করা বড় আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা।
>> পেঁয়াজের মূল্য সন্ত্রাস ঠেকাতে খাতুনগঞ্জে অভিযান
বাংলাদেশ সময়: ২২৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এআর/টিসি