মারধরের শিকার নিরাপত্তা কর্মীর নাম শিমুল দে। অন্যদিকে তাকে মারধরের অভিযোগে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর নাম লোকমান হোসেন ও কনক সাহা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লোকমান হোসেন এবং ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কনক সাহাকে ২০১৮ সালে প্রক্টর কার্যালয় ভাঙচুরের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে ২ নম্বর গেটের দিকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বহন করা গাড়ি যাওয়ার সময় সড়ক থেকে সবাইকে সরিয়ে দিচ্ছিলেন নিরাপত্তা কর্মী শিমুল দে। একপর্যায়ে কনক ও লোকমানকেও সরিয়ে দেন তিনি।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এ দুই ছাত্রলীগ কর্মী তর্কে জড়ান ওই নিরাপত্তা কর্মীর সঙ্গে। কিল ঘুষি দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয় তাকে। খবর পেয়ে পুলিশ নিরাপত্তা কর্মী শিমুল দেকে উদ্ধার করেন। লোকমান এবং কনককে পুলিশ বক্সে নিয়ে আসেন।
যদিও কিছুক্ষণ পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে ইমাম উদ্দিন ফয়সাল বাংলানিউজকে বলেন, নিরাপত্তাকর্মী যদি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, তাহলে শিক্ষার্থী হিসেবে তার খারাপ লাগার কথা। এখানেও হয়তো এমনটি হয়েছে।
‘এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। প্রক্টর স্যার বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। ’ বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তা কর্মীকে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি আমরা। ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
জেইউ/টিসি