ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জন্মান্ধ ১৩ শিশুর চোখে আলো

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
জন্মান্ধ ১৩ শিশুর চোখে আলো জন্মান্ধ ১৩ শিশুর চোখে আলো

চট্টগ্রাম: শহিদা বেগমের বয়স মাত্র ২ বছর। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম তার। এয়াসের এ মেয়েটি ছিল জন্মান্ধ। চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল তার চোখের আলো ফিরিয়ে দিয়েছে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে।

শুধু শহিদা নয়। ক্যাম্পের আবু তাহেরের ছেলে মো. এরফান (১২), মো. ইউনুছের ছেলে মো. ছাদেক (২), আমির আলীর ছেলে লালু (৩.৫), সুলতানের ছেলে এনায়েত উল্লাহ (১০), এয়াসের মেয়ে তাসমিনা তারা(৬), ইলিয়াসের ছেলে শহিদ (১৪), মুকবুল আহম্মদের ছেলে আতাউল্লাহ  (১২) ও নুর ইসলামের ছেলে সালমান (৩) এবং কক্সবাজারের বাসিন্দা রাসেল আহমদের মেয়ে জেসি মনি (১৩), আবু জাবেরের ছেলে রফিক আলম (১১), রসিদ আহমদের ছেলে তারেক (৭) ও কামাল হোসেনের ছেলে রবিউল (১০) চোখের আলো ফিরে পেয়েছে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) অস্ত্রোপচারের পর সোমবার (২৮ অক্টোবর) চোখের ব্যান্ডেজ খোলা হয় তাদের। ওষুধসহ যাবতীয় সেবা দেওয়া হয় তাদের।

রোহিঙ্গা শিবিরের আশপাশের হাসপাতালে চোখের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা না থাকায় চক্ষু হাসপাতালে আনা হয়েছিল তাদের। অস্ত্রোপচার করেন চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মেরাজুল ইসলাম ও ডা. নাসিমুল গনি চৌধুরী। এতে সহযোগিতা দেন কিউসিভি’র প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর নিলুফার ইয়াসমিন, এমআইএস কনসালটেন্ট মকবুল হোসেন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ (কবাশ) হাসপাতালের ম্যানেজার (অপারেশন অ্যান্ড প্রোগাম) শহিদ উদ্দিন মাহমুদ, অপটোমেট্টি আবদুল আউয়াল (কাজল) ও স্টাফ প্রবাল দে।

কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের (কিউএফএফডি) সহায়তায় অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাস্তবায়িত ‘কাতার ক্রিয়েটিং ভিশন (কিউসিভি) এক্সপান্ডিং আই কেয়ার ইন সাউথ ইস্ট বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় ও কবাশ হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে এ অস্ত্রোপচারে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিচ্ছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল।

এর আগে চক্ষু চিকিৎসার জন্য অরবিস পরিচালিত বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শিশুদের এবং নিয়মিত স্কুল সাইট টেস্টিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্থানীয় শিশুদের চোখ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রদানের জন্য কবাশ হাসপাতালে এবং অস্ত্রোপচারের জন্য চটগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সন্তানদের চোখে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ায় খুশি অভিভাবকরা। তারা বলেন, এত দিন সন্তানের চোখ নিয়ে যে দুঃশ্চিন্তা ছিল তা এখন কেটে গেছে। আমরা অরবিসসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞ, যারা আমাদের সন্তানদের চোখের চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করেছে। এ চিকিৎসার ফলে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে প্রায় ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শিশুর চোখ পরীক্ষার পাশাপাশি প্রায় ১ হাজার শিশুকে চশমা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।