রোববার (২৭ অক্টোবর) নগরের নৌঘাঁটি ঈসা খানে আনুষ্ঠানিকভাবে ইনস্টিটিউটটি উদ্বোধন করেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী।
নৌবাহিনীতে কর্মরত জেসিও’দের নিজ নিজ শাখায় পেশাগতভাবে দক্ষ ও নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এ প্রতিষ্ঠান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌবাহিনী প্রধান বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি আর বিস্তীর্ণ সামুদ্রিক এলাকার ক্রমবর্ধমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের কোনো বিকল্প নেই। নৌবাহিনীর সামগ্রিক উন্নয়নে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে প্রতিটি স্কুলের আধুনিকায়নসহ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সশস্ত্র বাহিনীর ‘জেসিও’পদকে ইতিমধ্যেই প্রথম শ্রেণির (নন ক্যাডার) মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জেসিও’রা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাংগঠনিক ও অপারেশনাল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। বর্তমানে আন্তঃবাহিনী এবং কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও জেসিও’রা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে নৌবাহিনীর ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল করছেন।
জাতির পিতার উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিকল্পনায় ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক আগ্রহে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর সক্ষমতা অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফোর্সেস গোল-২০৩০ অনুযায়ী দক্ষ এবং প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক নৌবাহিনী গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি রোড ম্যাপ ২০৪১, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে বঙ্গোপসাগরের কৌশলগত গুরুত্ব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দায়িত্ব ও কর্তব্য বহুগুণে বেড়েছে। এ দায়িত্ব কার্যকরভাবে পালনের লক্ষ্যে জেসিও’স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
এআর/টিসি