ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্দরের ২ টার্মিনালে ৪২০৪ কনটেইনার হ্যান্ডলিং

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
বন্দরের ২ টার্মিনালে ৪২০৪ কনটেইনার হ্যান্ডলিং চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে নতুন ১০টি ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ এবং আধুনিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজনের সুফল মিলছে। গতি এসেছে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কি গ্যান্ট্রি ক্রেন থাকা সিসিটি ও এনসিটি টার্মিনালে ৪ হাজার ২০৪ বক্সে ৬ হাজার ১৫৮ টিইইউ’স হ্যান্ডলিং হয়েছে। এর আগে এ দুইটি টার্মিনালে এক দিনে সর্বোচ্চ হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৪ হাজার ২৮ বক্সে ৬ হাজার ১৫৫ টিইইউ’স।

বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন সিসিটি ও এনসিটির টার্মিনাল অপারেটর মেসার্স সাইফ পাওয়ারটেকের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ক্যাপ্টেন তানভির হোসাইন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ২৪ ঘণ্টায় সিসিটিতে ২টি, এনসিটিতে পানগাঁওয়ের ১টিসহ ৪টি জাহাজের ৪ হাজার ২০৪ বক্স কনটেইনার হ্যান্ডলিং করতে সক্ষম হয়েছি আমরা।

এটি নতুন মাইলফলক।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সিসিটিতে ৪টি, এনসিটির ১ নম্বর বার্থে ২টি, ২ ও ৩ নম্বর বার্থে ৩টি করে ৬টি, ৪ নম্বর বার্থে ২টি ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ রয়েছে। ৫ নম্বর বার্থে গ্যান্ট্রি ক্রেন নেই। সেখানে গিয়ার জাহাজ বা ক্রেনযুক্ত জাহাজের কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়। যেসব বার্থে গ্যান্ট্রি ক্রেন আছে সেখানে গিয়ারলেস বা ক্রেন ছাড়া জাহাজের কনটেইনার দ্রুত হ্যান্ডলিং করা যায়। গিয়ারলেস জাহাজে আমদানি রফতানিতে পণ্য পরিবহন খরচ কম পড়ে।

২০০৫ সালের দিকে সিসিটির জন্য চারটি গ্যান্ট্রি ক্রেন আনার ১৩ বছর পর এনসিটির জন্য ৩টি গ্যান্ট্রি ক্রেন আসে ২০১৮ সালের ১৫ আগস্ট। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর চীনের সঙ্গে ৬টি গ্যান্ট্রি ক্রেন কেনার চুক্তি করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর দুই দফায় ৩টি করে গ্যান্ট্রি ক্রেন আসে বন্দরে। সর্বশেষ গত ২৪ জুলাই আরও ৪টি গ্যান্ট্রি ক্রেন আসে বন্দরে। সব মিলে গ্যান্ট্রি ক্রেনের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪টিতে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, আমদানি-রপ্তানির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে কয়েক বছরের মধ্যে ১০টি গ্যান্ট্রি ক্রেন, রেলমাউন্টেন্ড ইয়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেন, লগ হ্যান্ডলার, মোবাইল ক্রেনসহ অত্যাধুনিক সব হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজন করা হয়েছে। পাশাপাশি বন্দর ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন, অটোমেশন, স্টেক হোল্ডারদের সহযোগিতা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে বন্দরের সব নতুন রেকর্ড অর্জিত হচ্ছে।   

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর  ২৫, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।