ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম রুবেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায়।
রবিউল ইসলাম রুবেল বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার রাতে পাঠাও এর মোটরসাইকেল যোগে কালুরঘাট ইস্পাহানী জেডি রোড থেকে ডবলমুরিং ফায়ার স্টেশনের সামনে যাই। তবে অসাবধানতাবশত মোটরসাইকেলের ক্যারিয়ারে একটি শপিংব্যাগে পাওয়ার ব্যাংক, হেডফোন, চার্জার ও মানিব্যাগে নগদ তিন হাজার টাকা রেখে মোটরসাইকেল থেকে নেমে পড়ি।
‘কিছুক্ষণ পর ব্যাগ ফেলে আসার বিষয়টি মনে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ওই চালককে ফোন দিই। কিন্তু চালকের মোবাইল নম্বরটি (০১৮২২৯২২০৩) বন্ধ পাওয়া যায়। ’
তিনি বলেন, পাঠাও কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তারা চালককে ডেকে আনেন। তবে এ সময় চালক মালামাল আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ডবলমুরিং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
ঘটনা তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত দুজনের সঙ্গেই আমরা কথা বলেছি। অভিযুক্ত পাঠাও চালক আমাদের কাছে যাত্রীর মালামাল আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ওই চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজ পুলিশ জব্দ করেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালের মধ্যে চালক সমস্ত মালামাল ফেরৎ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। না দিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে বুধবার সন্ধ্যায় পাঠাও চট্টগ্রাম অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন ধরেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এমআর/টিসি