একই রায়ে পৃথক ধারায় ওই আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অনাদায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরীর আদালত এ রায় দেন বলে বাংলানিউজকে জানান আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তসলিম উদ্দিন।
মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পাওয়া আসামির নাম মো. সোলায়মান। তিনি সাইফুল ইসলামের ছেলে।
হত্যার শিকার নুরজাহান বেগম (৭০) কোতোয়ালী থানাধীন বান্ডেল রোড এলাকার হাছি মিয়ার স্ত্রী এবং তাদের গৃহকর্মী পপি (৭)।
অ্যাডভোকেট তসলিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বাসায় স্বর্ণ ডাকাতি শেষে ৭০ বছর বয়সী নুরজাহান বেগম ও বাসার গৃহকর্মীকে হত্যা করে মো. সোলায়মান। হত্যার দায় স্বীকার করে আসামি সোলায়মান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৮ আগস্ট বিকেলে বান্ডেল রোডের বাসায় খুন হন নুরজাহান বেগম ও পপি। বাসা থেকে ৩ ভরি ৮ আনা স্বর্ণ ডাকাতি করে নিয়ে যায় খুনি। এ ঘটনায় নিহত নুরজাহানের ছেলে ফারুক হোসেন অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট আসামি সোলায়মানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিনই সোলায়মান হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর আদালত আসামি সোলায়মানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এসকে/এসি/টিসি