মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে মরহুমের কবর জেয়ারত ও পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
কবর জেয়ারত শেষে চসিক সম্মেলন কক্ষে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মরহুমের দৌহিত্র অধ্যাপক সেলিম জাহাঙ্গীর, ৩১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, শিক্ষক সাহাদাত হোসেন, দেওয়ান মাকসুদ, আবদুল হালিম দোভাস, ফজলুল হক, সবির আহমদ, মো. সালাউদ্দিন, মঞ্জুর মোরশেদ, হাফেজ মিজানুর রহমান, আবদুস সালাম মাসুম, খোরশেদ আলম, সাইফুদ্দিন আহমদ, তাজউদ্দিন, কামরুল হক, তানভীর আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম, শওকত ওসমান, রফিকুল মান্নান, আবুদল আজিজ, আবদুল্লাহ আল মামুন ও ইয়াছির আরাফাত, চসিক কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম আলমগীর, সদস্য ইফতেখার হোসেন বাবুল, জাবেদ হোসেন চৌধুরী, আবদুল মান্নান হাওলাদার প্রমুখ।
বিকেলে থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে আলোচনা সভায় মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম নগরে সর্বজনীনসহ নারী শিক্ষা বিস্তারে পৌরসভা চেয়ারম্যান নূর আহমদের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি দায়িত্ব পালনকালীন নগরের ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। নগরবাসীকে শিক্ষিত করে তোলার প্রত্যয়ে তিনি লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর জন্য অভিভাবকদের আহ্বান জানাতেন। চেয়ারম্যান থাকাকালীন নূর আহমদ বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক পরিষদে প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক করার প্রস্তাব করেন। কিন্তু তৎকালীন পরিষদ সে প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। পরবর্তীতে ১৯২৭ সালে নূর আহমদ বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য মনোনীত হলে তিনি আবার তার সেই প্রস্তাব পরিষদে উপস্থাপন করেন। ১৯৪২ সালে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক পরিষদে অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা আইন পাস হয়।
চসিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সরওয়ার জামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, নূর আহম্মদের দৌহিত্র অধ্যাপক সেলিম জাহাঙ্গীর, জারেকা বেগম, জিল্লুর রহমান চৌধুরী, আলী আকবর,এসএম এহসান উদ্দীন,সুমন দত্ত প্রমুখ আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এআর/টিসি